সুইজারল্যান্ড ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন নেইমার। শুধু তা-ই নয় গ্রুপের শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের বিপক্ষে খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা।
সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় দিয়ে হেক্সা মিশন শুরু করেছে ব্রাজিল। সেই ম্যাচেই ৯ বার ফাউল করা হয় নেইমারকে। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত এককভাবে সর্বোচ্চ ফাউলের শিকার তিনি। খেলার পরপরই জানা গিয়েছিল ডান পায়ে গোড়ালির চোটে ভুগছেন তিনি। গোড়ালি মচকে গিয়ে অনেকটাই ফোলা হয়ে গিয়েছিল তখন। ডাক্তাররা ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখছেন। তখনই বিশ্বকাপের বাকি অংশে তাকে পাওয়াটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
মার্কা অবশ্য সরাসরিই বলেছে, সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবেন না নেইমার। তার পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের পর ক্যামেরুন ম্যাচ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে শেষ ষোলোয় ওঠার ব্যাপারে সমীকরণের জটিলতা না থাকলে নেইমারকে খেলাতে ইচ্ছুক নন ব্রাজিল কোচ তিতে। যদিও নেইমারের ঘনিষ্ঠ কিছু সুত্রের বরাত দিয়ে ব্রাজিল ভক্তদের দুঃসংবাদই দেয় মার্কা।
নেইমারের মেডিক্যাল কন্ডিশনের ব্যাপারে আজই রিপোর্ট হাতে পাবে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। রাতের খাবারের সময় পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে তা দেখবেন তিনি। দুঃসংবাদ নাকি সুসংবাদ তা সময়ই বলে দিবে।
বিশ্বকাপের আগে পিএসজির হয়ে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন নেইমার। তাই তাকে ঘিরে ব্রাজিলের হেক্সা জয়ের স্বপ্নটাও আরো উজ্জ্বল হতে থাকে। কিন্তু এক ম্যাচ খেলেই কি বিদায় নিতে হবে তাকে? ২০১৪ বিশ্বকাপে ইনজুরিতে ছিটকে পড়ার কারণেই জার্মানির বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
এএইচএস