ঘানার বিপক্ষে শেষ মিনিটে কর্নার পেয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু কিক নিতে পারেনি।
তবে প্রতিবাদ করার কারণে প্রশংসিত হচ্ছেন না বেন্তো। রেফারিকে শাসানোর সময় তার মেজাজ ছিল চরমে। যা চোখেমুখে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু রেফারি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পরপরই ঘানা কোচের সঙ্গে বেশ স্বাভাবিকভাবেই করমর্দন করেন তিনি। দেখিয়েছেন সত্যিকারের ‘স্পোর্টসম্যানশিপ’। ক্ষোভ, আক্ষেপ, হতাশাগুলো যেন দূর হয়ে গেল নিমিষেই।
এই দৃশ্য দেখার পরপরই ইন্টারনেটে তাকে নিয়ে প্রশংসার জোয়ার বইয়ে দেন দ.কোরিয়া সমর্থকরা। বেন্তোকে দেখে একজন লেখেন, ‘নিজের মেজাজকে ব্যক্তিত্বে রুপান্তরিত করতে না দেওয়ার উদাহরণ দেখিয়েছেন তিনি। তাকে দেখে আমি বুঝেছি আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার অর্থ কী। সে খুব ঠান্ডা মাথার লোক, সেটা বজায় রাখা নিশ্চয়ই সহজ কাজ নয়। ’ আরেকজন লেখেন, ‘আমি তার মতোই প্রাপ্তবয়স্ক হতে চাই। সে খুবই ঠান্ডা মাথার লোক। ’
লাল কার্ড পাওয়ায় ২ ডিসেম্বর পর্তুগালের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ডাগআউটে থাকছেন না বেন্তো। ঘানার বিপক্ষে বেশ ভালোই খেলেছিল তার দল। দুই গোলে পিছিয়ে পড়লেও তিন মিনিটের ঝড়ে সমতায় ফেরে তারা। কিন্তু দিনশেষে ৩-২ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছে দ.কোরিয়া। শেষ ষোলোয় পা রাখতে হলে আগামী ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি তাকিয়ে থাকতে হবে গ্রুপের অপর ম্যাচেও।
বাংলাদেশ সময় : ১৩০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
এএইচএস
벤투 항의하는거 개멋진데 매너도 있는거 더멋짐 pic.twitter.com/S9ENKliieX
— 흠칫 (@heumchit0708) November 28, 2022