ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

বছরে ৪ লাখ অপরিণত শিশু জন্ম নেয়: বিএসএমএমইউ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২২
বছরে ৪ লাখ অপরিণত শিশু জন্ম নেয়: বিএসএমএমইউ

ঢাকা: বাংলাদেশে প্রতি বছর অন্তত চার লাখ শিশু অপরিণত বয়সে জন্ম নেয় বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।  

বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে বিএসএমএমইউয়ের এক সমঝোতা সই অনুষ্ঠানে এ কথা জানানো হয়।

এ সমঝোতার ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত নবজাতক শিশুদের চক্ষুরোগ চিকিৎসাকেন্দ্র বা রেটিনোপ্যাথি অব প্রিমেচুরিটি (আরওপি) সেন্টারের কারিগরি সহায়তার মেয়াদ বাড়ানো হয়।

সমঝোতা সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমইউ'র পক্ষে অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক ডা. তারেক রেজা আলী ও অরবিসের পক্ষে ছিলেন কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ, অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ডা. লুৎফুল হোসেন, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইকবাল হোসেন।  

একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আরওপি সেন্টার থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে পাঁচটি চক্ষুসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান শিশুদের চক্ষু সুরক্ষায় একযোগে কাজ করবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মাতুয়াইল মা ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, চাঁদপুর, রংপুর, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহের চক্ষু হাসপাতাল। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে শিশুদের চোখের ছবিসহ বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট বিএসএমএমইউতে পাঠালে তা যাচাই বাছাই করে চিকিৎসাসেবার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সমঝোতা সই অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দির আহমেদ বলেন, ৩৫ সপ্তাহের আগে নবজাতক শিশুর জন্ম হলে এবং ওজন দুই কেজির কম হলে শিশুর চোখে রেটিনোপ্যাথি অব প্রিমেচুরিটি হতে পারে। অপরিণত নবজাতকের জন্মের ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে অবশ্যই চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছে শিশুর চোখ পরীক্ষা করাতে হবে। অন্যথায় শিশু চিরতরে অন্ধ হয়ে যেতে পারে। এজন্য শিশুর চোখের যত্ন নিতে হবে।  

সমঝোতা সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি বছর তিন মিলিয়ন শিশু জন্মগ্রহণ করে। এর মধ্যে অন্তত চার লাখ শিশু অপরিণত বয়সে জন্ম নেয় এবং যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে এসব শিশুর আরওপি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যা তাদের অন্ধত্বের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ পর্যন্ত অরবিসের সহায়তায় সারাদেশে ছয়টি আরওপি স্ক্রিনিং ও ট্রিটমেন্ট সেন্টার এবং একটি আরওপি রিসোর্স সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২২
আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।