ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বিদেশ ফেরতদের এইচআইভি পরীক্ষা করা প্রয়োজন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২২
বিদেশ ফেরতদের এইচআইভি পরীক্ষা করা প্রয়োজন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বিদেশ থেকে যারা দেশে আসেন তাদের এইচআইভি পরীক্ষা করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, চিকিৎসা না নিলে এইডস একটি ভয়ানক ব্যাধি। এইডস একজনের থেকে আরেকজনের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে অনিয়ন্ত্রিত জীবনের কারণে। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে এইডস রোগীর সংখ্যা কম। আমরা সেটাকেও নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। সরকার এইডস রোগীর চিকিৎসা বিনামূল্যে দিয়ে যাচ্ছে। যারা এইডস আক্রান্ত হয়েও চিকিৎসা নেন না, তারা মৃত্যুর মুখে পতিত হবে। আমরা চাই বাংলাদেশ থেকে এইডস নির্মূল হোক।

তিনি বলেন, সামাজিক কারণে অনেকে এইডসের চিকিৎসা নেন না। কেউ যদি জানেন তার এইডস আছে, তাহলে চিকিৎসা নেবেন এবং পরিবারকে সুরক্ষিত রাখবেন। এইডস আক্রান্ত রোগীদের আমাদের সহানুভূতির সঙ্গে দেখা প্রয়োজন। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি লোক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করেন।  মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় যারা কাজ করেন, সেখান থেকে ফেরত আসা ব্যক্তিদের মধ্যে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তাদের পরিবারের সদস্যরাও এইডসে বেশি আক্রান্ত হন। এ সংখ্যা ঢাকা ও চট্টগ্রামে বেশি। বিদেশে কাজ করতে যাওয়ার সময় এইচআইভি পরীক্ষা করে ভিসা নিতে হয়। কিন্তু যখন বিদেশ থেকে ফিরে আসে তখন এইচআইভি পরীক্ষা করা হয় না। যাওয়ার সময় যদি এইচআইভি পরীক্ষা করা হয়, তাহলে আমি মনে করি বিদেশে কাজ শেষে দেশে ফিরে আসার সময়ও এইচআইভি পরীক্ষা করা প্রয়োজন। বিদেশ থেকে ফেরার সময় তার নিজের জন্য ও তার পরিবারের সুরক্ষার জন্য এইচআইভি পরীক্ষা করা প্রয়োজন। এটা করলে এইডস রোগীর সংখ্যা পর্যায়ক্রমে কমে যাবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে এইডস শনাক্ত রোগীর সংখ্যা রয়েছে ৯ হাজার ৭০৮ জন। মোট রোগী রয়েছে ১৪ হাজার ৫১৩ জন। অর্থাৎ চার হাজারের মতো এইডস রোগী এখনো শনাক্তের বাইরে রয়েছে। তারা নিজেরা চিকিৎসা নিতে আসেনি এবং এ রোগটা তারা ছড়াচ্ছে। এতে প্রথমেই তাদের পরিবার আক্রান্ত হবে। আমি আহ্বান করবো তারা যেন চিকিৎসা নিতে এগিয়ে আসেন। ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশ থেকে এইডস নির্মূল করতে চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২২
আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।