ঢাকা: স্বাস্থ্য সেবাখাতে খরচ বাড়ার কারণে প্রতিবছর দারিদ্রতার হার ৩ শতাংশ হারে বাড়ছে বলে তথ্য দিয়েছে একটি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
রোববার হোটেল সোনারগাঁয়ে ইনস্টিটিউট অব মাইক্রোফাইন্যান্স (আইএনএম) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এ তথ্য দেন প্রতিষ্ঠানটির মাইক্রোইন্স্যুরেন্স রিসার্চ ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক সৈয়দ মইনুল আহসান।
তিনি বলেন, প্রতি ৭টি পরিবারের মধ্যে একটি পরিবার প্রতি বছর স্বাস্থ্যগত কারণে বড় ধরনের খরচের সম্মুখীন হয়। এসব ক্ষেত্রে পারিবারিক মোট খরচের শতকরা ১০ ভাগের বেশি ব্যয় হয়। আর সকল ধরনের ব্যয়ের মধ্যে ওষুধ কিনতেই খরচ হয় শতকরা ৬০ ভাগের বেশি অর্থ।
তিনি আরো বলেন, মাইক্রোইন্স্যুরেন্স রিসার্চ ইউনিটের গবেষণার ফলাফল হতে দেখা যায় প্রতি বছর এই স্বাস্থ্য সেবাজনিত খরচের কারণে দরিদ্রতার হার ৩ শতাংশ হারে বেড়ে যায়। আর বড় ধরনের সর্বনাশা স্বাস্থ্য সেবা খরচের জন্য এই হার বাৎসরিক প্রায় ১৭ শতাংশ।
তাই বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতে কার্যকর এবং পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সেবার অপ্রতুলতা থাকায় সুপরিকল্পিত ও সুচারুরূপে পরিচালিত ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমার চাহিদা বিদ্যমান।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) ড. বিনায়ক সেন বলেন, বিভিন্ন সময় দেশের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর মাধ্যমে নানা প্রকল্প নেওয়া হলেও দেশে সামগ্রীকভাবে এর কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যায় না।
অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক টিম ইভান্স বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য পূর্বপরিশোধিত পদ্ধতিতে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন। এটি হতে পারে ট্যাক্স ও ইন্স্যুরেন্সের মতো কিছু।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম. এ. বাকী খলীলী বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ ভালো প্রভাব ফেলতে সক্ষম যদি দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। কারণ ক্ষুদ্র ঋণের একটি বড় অংশ চলে যায় স্বাস্থ্য সেবার খরচে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রওনক জাহান।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১২
এইচএমএম
সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর