ঢাকা: ‘জরুরি চিকিৎসাসেবা বিষয়ক হাইকোর্টের রায় ও বাস্তবায়ন’ শিরোনামে গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।
বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. শেখ দাউদ আদনান, বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনষ্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. এ বি এম হারুন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের উপদেষ্টা ডা. ইয়াসমিন আহমেদ একটি প্রেজেন্টেশন দেন, সেখানে বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের কার্যক্রম তুলো ধরা হয়।
এরপর ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম তার মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন। নিবন্ধের শুরুতেই তিনি নীতিমালার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, বাংলাদেশে হাসপাতাল এবং ক্লিনিকসমূহে জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা দিতে অস্বীকার করার পেছনে নানাবিধ কারণ রয়েছে, এর মধ্যে কিছু কারণ হলো চিকিৎসা আইন সংক্রান্ত জটিলতা এবং আহতপক্ষের দ্বারা চিকিৎসার অর্থ প্রদানের অক্ষমতা।
এই গোলটেবিল আলোচনা সভার উদ্দেশ্য ছিল, ২০১৬ এর রিট পিটিশন নং ১৫০৯-এ হাইকোর্ট কর্তৃক অনুমোদিত ‘সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ ও সহায়তাকারীর সুরক্ষা প্রদান নীতিমালা, ২০১৮’ এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য; ২০১৬ এর রিট পিটিশন নং ১৫০৯-এ হাইকোর্ট বিভাগ দ্বারা নির্দেশিত নীতিমালা সম্পর্কে ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে অবহিত করা; এবং সংশ্লিষ্ট মহলের মধ্যে নীতিমালা প্রচারের উপায় নিশ্চিত করা, সরকারি ও বেসরকারি মহলের মধ্যে নীতিমালা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আলোচনা করা।
সভায় ডা. শেখ দাউদ আদনান বলেন, সকল হাসপাতালের ২৪/৭ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু আছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রতিটি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য লজিস্টিক সাপোর্ট আরও বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে সরকার পোর্টেবল অপারশন থিয়েটার চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে।
ডা. এ বি এম হারুন বলেন, আমাদের দেশে ইমারজেন্সি মেডিকেল টিম তৈরি করতে হবে এবং তাদের পর্যাপ্ত ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
আরকেআর/এমজেএফ