ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

১১ শিশু ও ঢাবি শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে শ্রবণযন্ত্র প্রদান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১২
১১ শিশু ও ঢাবি শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে শ্রবণযন্ত্র প্রদান

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সরকারি অর্থায়নে শ্রবণ প্রতিবন্ধী ১১টি শিশু ও একজন ঢাবি শিক্ষার্থীর মস্তিষ্কে ককলিয়ার ডিভাইস (শ্রবণযন্ত্র) স্থাপন করা হয়েছে। রকমভেদে ডিভাইসের মূল্য নয় লাখ থেকে ১৬ লাখ টাকা।



শনিবার সকালে বিএসএমএমইউ আয়োজিত ইএনটি (নাক, কান, গলা) সার্জন, অডিওলজিস্ট ও স্পিচ থেরাপিস্টদের অংশগ্রহণে দুই দিনব্যাপী কর্মশালায় এই ডিভাইস দেওয়া হয়।

ডেভেলপমেন্ট ইন ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রোগ্রাম ইন বিএসএমএমইউ প্রকল্পের আওতায় তাদের এ ডিভাইস দেওয়া হয়।

কর্মশালায় দেশের সিনিয়র প্রশিক্ষকদের পাশাপাশি ব্রিটিশ ইএনটি সার্জন ও ভারতের মুম্বাই থেকে আসা অডিওলজিস্ট প্রশিক্ষক হিসেবে অংশ নিয়েছেন।

কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, ‘সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়, তারাও সমাজ ও রাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রকল্পের আওতায় সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের বিনামূল্যে শ্রবণশক্তি ও কথা বলার সুযোগ দিতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে আসছে। এতে করে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুরা সম্পদে পরিণত হচ্ছে। ’ প্রকল্পে সহায়তা করার জন্য সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান তিনি।

ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল হাসনাত জোয়ারদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএমডিসির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবু সফি আহমেদ আমিন।

প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী সহযোগী অধ্যাপক ডা. জহুরুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ইএনটি সার্জন রিচার্ড মাইকেল আরবিং, ভারতের ক্লিনিকাল অডিওলজিস্ট অব ককলিয়ার লিমিটেডের রাখি বুতালা।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, অন্য যেকোনো শারীরিক প্রতিবন্ধিতার তুলনায় বধিরতা একটু আলাদা, কারণ এটা দেখা যায় না। এখানে দু’টো সমস্যা পাশাপাশি থাকে। এই রোগ প্রাথমিক অবস্থায় নিরূপণ করা এবং সমস্যার রকমভেদে বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া যায়।

বক্তারা আরও বলেন, এই কর্মশালার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসাক্ষেত্রে দক্ষ জনবল তৈরিতে সহায়তা করবে।     

স্পিচ থেরাপি, হেয়ারিং এইড দিয়েও যে সব শ্রবণ প্রতিবন্ধীর উপকার হয় না তাদের ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারির মাধ্যমে সমস্যা দূর করা সম্ভব। যদিও এটা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ডিভাইস। এতে দক্ষ সার্জারি ও তা পরবর্তী দীর্ঘদিন থেরাপির প্রয়োজন পড়ে।

সরকারের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় এই প্রোগ্রামের আওতায় স্বল্প আয়ের লোকদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বিনামূল্যে বধিরদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে। এরই আওতায় ১১টি বধির শিশু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন তরুণ শিক্ষার্থীকে এ ডিভাইস বিনামূল্যে দেওয়া হলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, ৫ মে ২০১২
এমএন/সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।