ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৩
বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।  ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: টিকা দেওয়ার মাধ্যমে মারাত্মক সংক্রামক রোগ থেকে জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করার জন্য প্রতি বছরের ন্যায় বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।
 
রোববার (০৭ মে) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বল রুমে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মুহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান।

এছাড়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বরদান জং রানার পক্ষে বক্তব্য দেন ইউনিএইড এর কান্ট্রি ডিরেক্টর সায়মা খান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. তানভীর হোসেন।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমি মনে করি দেশে টিকাদান কর্মসূচিতে সফলতা অনেক। শিশু মৃত্যুর হার কমেছে, মায়ের  মৃত্যুর হার কমেছে। টিকা সেখানে বড় অবদান রেখেছে। এখন আমাদের দেশে গড় আয়ু ৭৩ বছর। টিকা এখানে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে।

তিনি বলেন, আমি আশা করবো যে কার্যক্রম চলছে সেটা আরও ভালোভাবে চলমান থাকবে, আমাদের ভালো রাখতে হবে। আমরা সংক্রামক ব্যাধির ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছি। কিন্তু অসংক্রামক ব্যাধি বাড়ছে। আমাদের সেদিকেও নজর রাখতে হবে। ক্যানসার, যক্ষ্মা, হার্টের রোগীদের জন্য আটটি হাসপাতাল নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।

অনুষ্ঠানে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, বাংলাদেশ টিকাদানের ক্ষেত্রে অনেক সফলতা অর্জন করেছে। আমি মনে করি বাংলাদেশ যেটা করেছে তা দৃষ্টান্ত হয়েছে ও টিকাদানের ক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে আছে। এ সময় তিনি ইউনিসেফের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এবারে মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ‘দ্য বিগ ক্যাচ’ অর্থাৎ ‘জনগণ ও বৈশ্বিক সহযোগীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অতিমারী পরবর্তী সময়ে তথা ২০২৩ সালের মধ্যেই টিকা না পাওয়া শিশুদের টিকা নিশ্চিতকরণ’। এ কর্মসূচি চলবে আগামী জুন পর্যন্ত।

এ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মাঠ পর্যায়ে বাদ পড়া, আংশিক বাদ পড়া শিশুদের তালিকা তৈরির কাজ সম্পন্নকরণ, ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় টিকাদান বিষয়ক বার্তা প্রচার (প্রতিদিন একটি করে বার্তা), জেলা, সিটি করপোরেশন থেকে টিকাদান রিপোর্ট ইপিআই সদর দপ্তরে পাঠানো সম্পন্নকরণ, তালিকা তৈরির এক মাসের মধ্যে জিরো ভোজ/ আংশিক/মিসড কমিউনিটি শিশুদের টিকাদান সম্পন্নকরণ, সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ শীর্ষক অ্যাডভোকেসি সভা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৩
এসকেবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।