ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

খুলনায় তিন লাখ ৮০ হাজার শিশু খাবে কৃমিনাশক ট্যাবলেট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৩
খুলনায় তিন লাখ ৮০ হাজার শিশু খাবে কৃমিনাশক ট্যাবলেট

খুলনা: আগামী ৪ থেকে ১০ জুন জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উপলক্ষে খুলনা জেলায় তিন লাখ ৮০ হাজার ৩০২ জন শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে।

রোববার (২৮ মে) এ উপলক্ষে নগরীর স্কুল হেলথ ক্লিনিকের সভাকক্ষে জেলা পর্যায়ের অ্যাডভোকেসি সভায় খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রম এর সহযোগিতায় খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয় এ সভার আয়োজন করে।

তিনি জানান, শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়মিত কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুস্বার্থ বিবেচনা করে এ উদ্যোগকে সফল করতে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ধর্মীয় নেতাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাজ করতে হবে। প্রাথমিক-মাধ্যমিকস্তরের স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ছিন্নমূল, ঝরেপড়া ও পথশিশুদেরও কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো নিশ্চিত করতে হবে। সবার প্রচেষ্টায় জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ সফল হবে।

সভায় জানানো হয়, ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল এবং কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় বছরে দুইবার কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালন করা হয়। কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ চলাকালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সমপর্যায়ের মাদ্রাসা, মক্তব ও এতিমখানাগুলোর ৫-১৬ বছরের সব শিক্ষার্থী এবং স্কুল বহির্ভূত শিশু, পথশিশু, ঝরেপড়া ও শ্রমজীবী শিশুদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট (অ্যালবেন্ডাজল ৪০০ মিলি গ্রাম) খাওয়ানো হবে। এটি খালি পেটে খাওয়ানো যাবে না। খাওয়ার পর শিশুরা বমি করলে ভয়ের কিছু নেই। কৃমি মানুষের পেটে পরজীবী হিসেবে বাস করে এবং খাবারের পুষ্টিটুকু খেয়ে ফেলে, তাই মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভোগে। এটি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাড়াতে ব্যাঘাত ঘটায়।

সভায় আরও জানানো হয়, আগামী ৪ থেকে ১০ জুন জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ চলাকালে খুলনার দুইটি পৌরসভাসহ জেলার নয়টি উপজেলার দুই হাজার ৩০৩টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিকস্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট তিন লাখ ৮০ হাজার ৩০২ জন শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা রয়েছে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্বপন কুমার হালদার, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম কামাল হোসেন, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. মেহেদী হাসান, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জামাল হোসেন, ডা. সাদিয়া মনোয়ারা উষা প্রমুখ।

সভায় সব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের কর্মকর্তাসহ এনজিও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৩
এমআরএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।