ঢাকা: আমাদের মতো অনুন্নত দেশে সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে ক্যান্সার একটি ভিতিকর রোগের নাম। যার মূল কারণ রোগ সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং কুসংস্কার।
স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে কথাটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য। স্তন ক্যান্সার বিশ্বে নারীদের জন্য অন্যতম প্রাণঘাতী রোগ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে মনগড়া ধারণা বা বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার এ আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা রোগীদের মধ্যে সচরাচর পরিলক্ষিত হয়। এজন্য প্রয়োজন এ সম্পর্কে যথাযথ ধারণা এবং প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন।
আশার কথা সাম্প্রতিক সময়ে নারীরা স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে আগ্রহী হচ্ছেন এবং সময় থাকতেই সচেতন হচ্ছেন।
স্তন ক্যান্সার কি?
স্তনের কিছু কোষ যখন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠে তখন স্তন ক্যান্সার হতে দেখা যায়। অধিকাংশ নারীদের জন্য এই রোগ একটি আতঙ্কের কারণ।
এই ক্যান্সার কেন হয়?
নির্দিষ্ট কোনো কারণ এখনও জানা যায়নি। তাই একাধিক কারণকে স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী করা হয়:
বংশগত কারণ:
• যেমন মা-খালা এদের থাকলে সন্তানদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
• অবিবাহিতা বা সন্তানহীনা নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি।
• একই রকমভাবে যারা সন্তানকে কখনও স্তন্য পান করাননি তাদের এই ক্যান্সার বেশি হয়।
• ৩০ বছরের পরে যারা প্রথম মা হয়েছেন তাদের স্তন ক্যান্সারের প্রবণতা একজন কমবয়সী মা হওয়া নারীর থেকে অনেক বেশি।
• বয়স যত বাড়ে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি তত বৃদ্ধি পায়।
• অল্প বয়সে সন্তান নিলে, দেরিতে মাসিক শুরু হলে, তাড়াতাড়ি মাসিক বন্ধ হলে স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
• একাধারে অনেক দিন জন্ম নিরোধক বড়ি খেলেও স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
উপরোক্ত কারণগুলো স্তন ক্যান্সারের সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তবে এগুলো একমাত্র কারণ নয়।
যারা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ:
• বারো বছরের আগে মেয়েদের মাসিক শুরু হলে তাদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেশী।
• পঞ্চাশ বছর পরও যাদের মাসিক চলতে থাকে তাদের ক্ষেত্রে সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
• ত্রিশ বছরের পরে প্রথম সন্তান হলে।
• মায়ের রক্ত সম্পর্কিত কারও যদি স্তন ক্যান্সার হয় সেক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি থাকে।
• অত্যাধিক ধূমপান/মদ্যপান স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
বয়স ভেদে ঝুঁকি:
• ২০ বছর বয়সে প্রতি ২২ হাজারে ০১ জন।
• ৪৫ বছর বয়সে প্রতি ১০০ জনে ০১ জন।
• ৬৫ বছর বয়সে প্রতি ১৭ জনে ০১ জন।
• ৮০ বছর বয়সে প্রতি ১০ জনে ০১ জন।
• বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই রোগের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন বাংলানিউজের স্বাস্থ্য পাতায়।
লেখক: কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স কর্মকর্তা, মেরি স্টোপস
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১২
সম্পাদনা: তানিয়া আফরিন, বিভাগীয় সম্পাদক