ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মাস্ক পরা ও করোনা প্রতিরোধে জনস্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৪
মাস্ক পরা ও করোনা প্রতিরোধে জনস্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ ফাইল ছবি

ঢাকা: মাস্ক পরাসহ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে অন্যান্য জনস্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেছেন কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দিনগত রাতে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

তাতে বলা হয়, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির ৬৫তম সভা হয়েছে। সেখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো-

১. সভায় কোভিড-১৯ এর সর্বশেষ পরিস্থিতি, নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন-১ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক পরামর্শ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিশ্বের বেশ কিছু দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ আর এই ভ্যারিয়েন্ট বেড়েছে। আমাদের দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় আছে এবং নতুন ওই ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় পরামর্শক কমিটি মাস্ক পরাসহ কোভিড প্রতিরোধে অন্যান্য জনস্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করে। বিশেষ করে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থান, যেমন- হাসপাতাল, চিকিৎসাকেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়। কমিটি মনে করে কোভিড-১৯ ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে এটা সহায়ক হবে।

২. সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য বৈশ্বিক রিপোর্ট পর্যালোচনা ও দেশে সার্ভিলেন্স জোরদার করার জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে কোভিড পরীক্ষা ও আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসার সব প্রস্তুতি রাখার সুপারিশ করা হয়। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং এর প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় সেখানে।

৩. কোভিড ভ্যাকসিন বিষয়ে নিয়মিত বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

৪. সভায় সার্জারি অথবা অন্য কোনো রোগের চিকিৎসার আগে কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোচনা করা হয়। কমিটি শুধু কোভিডের লক্ষণ/উপসর্গ থাকলে কোভিড পরীক্ষা করার পরামর্শ দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৪
আরকেআর/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।