ঢাকা: ‘বাঁচতে হলে জানতে হবে’ এইডস সচেতনতায় আমরা প্রায়শ গণমাধ্যমগুলোতে এ ধরণের বিজ্ঞাপন দেখে থাকি। আসলেই বাঁচতে হলে জানতে হবে।
তবে এই দূরারোগ্য রোগটির প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য কিন্তু অনেকের খাওয়া ঘুম হারাম হয়ে গেছে। মানুষ চেষ্টা করছে এ থেকে বাঁচতে। সেখানে সফলতা হিসেবে বলা যায় ‘ত্রুভাদা’ নামক ওষুধটি।
এইচআইভি থেকে এইডস হয়। এটা কমবেশি সবারই জানা। এই এইচআইভি সংক্রমণ রোধে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো ত্রুভাদা ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসন জানিয়েছে যে, এইডস এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি যাদের বেশি কিংবা এইচআইভি সংক্রমণ রোধে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে এমন ব্যক্তিরা ওষুধটি ব্যবহার করতে পারবেন। ওই গবেষণায় আরও দেখা যায় যে, এইচআইভি সংক্রমণ রোধে ত্রুভাদা ওষুধ অন্ততপক্ষে ৭৩ভাগ নিরাপদ রাখতে পারছে।
তবে দিনে একবার সেবন যোগ্য এই ওষুধের কার্যকারীতাকে অস্বীকার করেছেন এইচআইভি রোগীদের নিয়ে কাজ করেন এমন কয়েকজন কর্মী এবং গোষ্ঠী। তারা বলছেন যে, এই ওষুধ মানুষের মনে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করবে এবং এর ফলে এইচআইভি সংক্রমণের মাত্রা অনেক বেড়ে যাবে।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসন জানায় যে, এইচআইভি প্রতিরোধে এই ওষুধ ব্যবহার করার পাশাপাশি কনডমের ব্যবহার এবং এইচআইভি পরীক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো হবে।
এর আগে মে মাসে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একটি দল ত্রুভাদা ওষুধের অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করে। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক জিলিড সায়েন্স এই ওষুধটি তৈরি করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসন থেকে এইচআইভি আক্রান্তদের জন্য ভাইরাসজনিত রোগ প্রতিরোধের ওষুধ উৎপাদনের অনুমোদন পেয়েছে।
ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যও এইচআইভি চিকিৎসায় ত্রুভাদা’র অনুমোদন দিয়েছে তবে প্রতিরোধক হিসেবে নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১২
সম্পাদনা: তানিয়া আফরিন, বিভাগীয় সম্পাদক