ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দগ্ধ চিকিৎসক লতাকে দেখতে গেলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪
দগ্ধ চিকিৎসক লতাকে দেখতে গেলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা: নরসিংদী রায়পুরায় উপজেলার মরজাল নিজ বাড়িতে তালাকপ্রাপ্ত স্বামী খলিলুর রহমান খলিলের দেওয়া আগুনে চিকিৎসক লতা আক্তার (২৯) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ৯০ শতাংশ পোড়া নিয়ে চিকিৎসক লতা এখন আইসিইউর ভেন্টিলেটর এর মাধ্যমে শ্বাস নিচ্ছেন।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে দগ্ধ লতার খোঁজ খবর নেন ও ইনস্টিটিউটে উপস্থিত তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন।  

চিকিৎসক লতার খালু ফরহাদ চৌধুরী জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নরসিংদী রায়পুরা লতাদের বাসায় প্রবেশ করে তার তালাকপ্রাপ্ত স্বামী খলিল লতার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন। চার মাস আগে লতা তার স্বামীকে তালাক দিয়েছেন। খলিল একজন প্রতারক,তিনি যে গাড়িচালক এ বিষয় গোপন রেখেছিলেন। বিয়ের আগে লতা তার প্রতারণার কথা কিছুই জানতেন না। খলিল নানা রকম প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে লতাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরে এক এক করে লতা তার প্রতারণা ধরে ফেলেন। এরপরে খলিলকে চার মাস আগে তালাক দিয়ে দেন। এতেই খলিল ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার উদ্দেশে লতার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
লতা গুলশানে শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন। নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সপ্তাহে রোগী দেখতেন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন (আরএস) ডা. তরিকুল ইসলাস জানান, ২৫ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসক লতা নিজেই বলেন, তার শরীরে আগুন দেওয়া হয়েছে।

বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. রায়হানা আউয়াল জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন স্যার বিকেলের দিকে দগ্ধ চিকিৎসক লতাকে আইসিইউতে গিয়ে চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং সেই সময় উপস্থিত থাকা লতার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। চিকিৎসক লতার অবস্থা খুবই সংকটময় তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এখন তিনি আইসিইউয়ে ভেন্টিলেটর এর মাধ্যমে শ্বাস নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪
এজেডএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।