আমাদের চোখ স্বাভাবিক কার্যকারিতা ও সুরক্ষার জন্য ক্রমাগত কিছু পরিমাণ শ্লেষ্মা উৎপাদন করে চলে। অনবরত চোখের প্রতিটি পলক পড়ার সঙ্গে এই শ্লৈষ্মিক অশ্রু বেরিয়ে আসে ও একটি পাতলা আচ্ছাদন তৈরি করে।
চোখ থেকে পানি পড়ার সঙ্গে যুক্ত লক্ষণ এবং উপসর্গগুলো হলো-
চোখ দিয়ে নির্গত পুঁজ বা পানি (যা হলুদ বা সবুজ রঙের হতে পারে);
চোখের পাতায় ও পলকের উপর শুকনো পুঁজ;
ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের পাতা দুটি চটচটে ও একসাথে জুড়ে থাকা;
চোখের সাদা অংশে লাল বা গোলাপি রঙের বিবর্ণতা;
সাধারণত চোখের পাতায় ফোলাভাব;
গুরুতর ক্ষেত্রে যে উপসর্গ দেখা যেতে পারে-
১০৪ ডিগ্রি ফ্যারেনহাইটের বেশি জ্বর;
চোখে অসহ্য ব্যথা, সাথে চোখের পাতা ফোলা বা লালচে ভাব;
দৃষ্টিতে অস্পষ্টতা;
চোখ দিয়ে পানি পড়ার কারণগুলো হলো-
সাধারণভাবে পানি পড়া। শুধুমাত্র চোখের কোণে খুব অল্প পরিমাণে ক্রিম রঙের শুকনো শ্লেষ্মা উপস্থিত থাকে। নোংরা হাতে চোখে স্পর্শ করলে অস্বস্তি হয়;
চোখের পানির পথ বন্ধ থাকলে;
কনজাংটিভাইটিস- ব্যাকটেরিয়া, অ্যালার্জি বা ভাইরাস জনিত কারণে;
কেরাটাইটিস; ব্লেফারাইটিস; চোখে আঘাত; চোখে বাইরের কোনো বস্তুর প্রবেশ; চোখের পাতায় সেলুলিটিস হলে
নির্ণয় ও চিকিৎসা
প্রাথমিকভাবে ভুক্তভোগীকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। উপসর্গের বিশদ বিবরণ নিয়ে নিখুঁতভাবে চোখ পরীক্ষা করাতে হবে।
ঘরে বসে নিরাময়
চোখের থেকে সাধারণ পানি বা কেতর পরিষ্কার করার জন্য ঈষদুষ্ণ পানি ও ভেজা তুলার ব্যবহার করা উচিত। পুনরায় সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পরিষ্কারের পর নতুন করে তুলা ব্যবহার কতে হবে। এ সময় হাত ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া অবশ্য কর্তব্য;
মুখ ও চোখের পাতা স্পর্শ এবং চোখের সাজসজ্জা এড়িয়ে চলা উচিত;
যদি সংক্রমণ দেখা দেয়, অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিভাইরাল চোখের ড্রপ দেওয়া প্রয়োজন;
কন্টাক্ট লেন্সের ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত;
চোখ দিয়ে অস্বাভাবিক বা অত্যধিক পানি পড়লে চশমা ব্যবহার করা উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৪
এমজে