ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

রোজায় স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যা করবেন

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৪
রোজায় স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যা করবেন

আজ দিন বাদে কাল থেকে রোজা শুরু। পবিত্র এ মাসে মুসলিম উম্মাহ সেহরির পর থেকে ইফতারের সময় পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন।

এ সময় খাবার গ্রহণের সময়সূচিতেও পরিবর্তন আসে।

সেহরিতে ভরপেট খাওয়া দাওয়ার পর সারাদিন সিয়াম পালনের পর ইফতার পর্বে কি কি খাওয়া উচিৎ বা কোন ধরনের খাবার স্বাস্থ্যপযোগী তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। তবে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া খুব জরুরি।

অভ্যাসের বৈচিত্র্য থাকলেও সুস্থতার জন্য প্রত্যেকেরই মোটামুটি ক্যালরির মান বজায় রাখা উচিত। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক রমজানে স্বাস্থ্য সচেতনতা সম্পর্কে-  

গরমে রোজা হলে শরীরে পানিশূন্যতার ঝুঁকি থাকে বিশেষ করে যাদের চাকরি বা কাজের জন্য বাইরে রোদে যেতে হয় তাদের ঝুঁকি বেশি। তাই ইফতার ও পরবর্তী সময়ে প্রচুর পানি পান করা উচিত। বেশি চিনিযুক্ত পানীয় বা প্রক্রিয়াজাত ফলের রস না খেয়ে বরং এ সময় লেবু পানি, ডাবের পানি এবং বাড়িতে তৈরি ফলের রস পান করা ভালো। রসালো ফলমূল, শসা, টমেটো ইত্যাদি পানিযুক্ত সবজিও শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করবে।

ইফতারে প্রচলিত পেয়াঁজু, ছোলা, ঘুগনি, চপ, কাবাব, বেগুনি ইত্যাদি বেশির ভাগ খাবারই তেলে ভাজা এবং অতি ক্যালরিযুক্ত। রোজা রেখে এইসব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই খাবারে যত কম তেল ব্যবহার করা যায় তত ভালো। তেল এড়ানোর জন্য ভাজা ছোলা বুট না খেয়ে সেদ্ধ বা পানিতে ভেজানো কাঁচা ছোলা খেতে পারেন। ভাজা খাবারের বদলে মাঝে মাঝে চিড়া দই, সেদ্ধ নুডলস বা পাস্তা, নরম খিচুড়ি, ওটমিল ইত্যাদি খেতে পারেন। আর বেশি করে তাজা ফলমূল খান। রোজা ভেঙে ইফতারে হঠাৎ করে খুব বেশি খাবার গ্রহণ করা ঠিক নয়। কিছু খাবার খেয়ে বিরতি নিয়ে আবার খান। মনে রাখবেন ইফতার হওয়া উচিত সকালের নাশতার মতো।

সেহরি না খেয়ে রোজা রাখার অভ্যাস মোটেও ভালো নয়। শেষ রাতে শর্করা বা ভাত-রুটির সঙ্গে আমিষ (মাছ-মাংস বা ডিম) খাবেন। এ সময় পূর্ণ আহার করবেন। দুধও খেতে পারেন। এটা হবে আপনার দিনের প্রধান খাবার, অনেকটা মধ্যাহ্নভোজের মতো।

এ ছাড়া দিনের প্রথম খাবার পুষ্টিকর রাখতে পারেন। ইফতারে অতিরিক্ত খাবার না গ্রহণ করাও ভালো। খাওয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্ব দিন। ব্যায়ামের সময় নির্ধারণ করে শক্তি ও স্থিতিশীলতার দিকে মনোযোগ দিন। সর্বোপরি আপনি কী চান তা মাথায় রাখুন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৪
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।