ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

হিট অ্যালার্ট: গরমে-রোজায় সুস্থ থাকতে ডা. আব্দুল্লাহর পরামর্শ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৪
হিট অ্যালার্ট: গরমে-রোজায় সুস্থ থাকতে ডা. আব্দুল্লাহর পরামর্শ

ঢাকা: গত কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে বইছে তাপদাহ। ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এ চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। অন্যদিকে, পবিত্র রমজান মাসে রোজা রেখে খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে গরমের অসহনীয় তীব্রতা। খেটে খাওয়া কিংবা দিনমজুর মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে অন্য সবার চেয়ে বেশি। রোজা রেখে তীব্র গরম সহ্য করে চালিয়ে নিতে হচ্ছে জীবিকা নির্বাহের কাজ। অপরদিকে, তীব্র গরমের কারণে সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে থাকে অসুস্থ, বয়স্ক এবং শিশুরা।

তীব্র গরমের এমন অবস্থায় কিভাবে সুস্থ থাকা যায় যায়, সুস্থ থাকতে করণীয় কী জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক, একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ইমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, হঠাৎ করেই তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থায় সুস্থ থাকতে আমাদের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এই গরমে সরাসরি রোদে যত কম যাওয়া যায় ততই ভালো।

ইমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ

তিনি বলেন, যারা হৃদরোগ, লিভার, কিডনি এবং স্ট্রোকের রোগী তারা নেহায়েতই খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবেন না। বিভিন্ন ধরনের শ্রমিক যাদের বাইরে রোজা রেখেও কাজ করতে হয়, তারা যেন ছাতা ব্যবহার করেন, ছাতা না হলেও অন্তত মাথায় ক্যাপ কিংবা কাপড় ব্যবহার করতে হবে। কাজের মাঝে কিছুক্ষণ পরপর অন্তত কয়েক মিনিট যেন ছায়াযুক্ত স্থানে বিশ্রাম নেন। সবচেয়ে জরুরি কথা, একনাগাড়ে কেউ যেন রোজা রেখে রোদে কাজ না করেন।

তিনি আরও বলেন, যারা রোজা রাখছেন, তারা যেন রাতে বেশি বেশি পানি পান করেন। এই সময়ে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে অনেক বেশি লবণ বের হয়ে যায়। এতে অবসাদ, ক্লান্তি ও মাথা ঘোরার মতো শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রয়োজনে হালকা লবণ মিশ্রিত পানি কিংবা স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক আরও জানান, এই সময়ে যারা বাইরে যাবেন তারা যেন সুতি ঢিলেঢালা, পাতলা কাপড় পরিধান করেন। পাশাপাশি যারা বিভিন্ন ধরনের ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন, তারাও গরমে ঝুঁকিতে থাকেন। তাদের জন্যও এসব কথা প্রযোজ্য। আর যারা বাসায় থাকছেন, যতটা সম্ভব রুম যেন ঠাণ্ডা থাকে। যাদের সামর্থ্য রয়েছে তারা এসি বা ফ্যান ব্যবহার করবেন। ঘরে যেন পর্যাপ্ত বাতাস প্রবেশ করে, সে জন্য দরজা জানালা খোলা রাখাই ভালো। এসব বিষয় মেনে চললেই হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২৪
আরকেআর/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।