ঢাকা: আগস্টের ২০ তারিখে সারা বিশ্বের মতো চীনের গুয়াংজু মডার্ন ক্যানসার হাসপাতালেও উদযাপিত হয় পবিত্র ঈদূল ফিতর।
সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ উৎসবের দিনটিকে স্বাগত জানাতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা মুসলিম ধর্মাবলম্বী রোগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজন, হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সসহ প্রায় ৫০ জন এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আয়োজনস্থল সাজানো হয়েছিলো চমৎকার সব ফুল দিয়ে। টেবিলে রাখা তাজা ফল এবং সুস্বাদু কেকের সুগন্ধ বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছিলো। ফুল, ফল আর বিভিন্ন সুস্বাদু খাদ্যের সুগন্ধে হাসপাতালে সৃষ্টি হয়েছিলো এক উৎসব মুখর আমেজ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা তাদের স্ত্রী,আত্মীয়-স্বজন এবং ছেলে-মেয়েসহ উপস্থিত হন অনুষ্ঠানে। গুয়াংজুর মডার্ন ক্যানসার হাসপাতালের পক্ষে তাদের দেওয়া হয় আকর্ষণীয় সব উপহার।
বাংলাদেশের ঢাকার এক রোগী তার স্ত্রী ও পুত্রসহ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা অপর এক রোগী হুইল চেয়ারে বসেই তার আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন।
এটা তাদের জন্য শুধু ধর্মীয় উৎসবই ছিলো না বরং ছিলো বিদেশের মাটিতে আনন্দময় পারিবারিক মিলনমেলার একটি উপলক্ষ।
প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে এশিয়ার ক্যানসার চিকিৎসার অন্যতম কেন্দ্র মডার্ন ক্যানসার হসপিটাল গুয়াংজু প্রায় দশ হাজার আন্তর্জাতিক রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছে।
``রোগীর চাহিদার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন``--এই নীতিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে হাসপাতালের পক্ষ থেকে রোগীদের সেখানে পারিবারিক আবহে সর্বোচ্চ সেবা ও চিকিৎসা দেওয়া হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ধর্মের রোগীদের ধর্মবিশ্বাসের প্রতি পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পাশাপাশি তাদের ধর্মীয় উৎসব আয়োজন ও উদযাপন করে থাকে।
বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় বিধি বিধান পূর্ণাঙ্গভাবে অনুসরণ করে এসব উৎসব আয়োজন করা হয়। রোগীদের মানসিক প্রশান্তির জন্যে এ সব আয়োজন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এ সব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ রোগীদের মনে প্রশান্তি আনে, যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রোগীকে বিশেষ মনোবল ও প্রাণশক্তি যোগায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১২
সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর; আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর; জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর [email protected]