ঢাকা: রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে বহুতল ভবনে সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৩৩ শতাংশ এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) বেলা ১১টায় রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভবনে মৌসুম পূর্ববর্তী এডিস সার্ভের ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠান থেকে এ কথা জানানো হয়।
অনুষ্ঠান থেকে জানানো হয়, প্রতিবছর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায়-মৌসুম পূর্ব, মৌসুম, মৌসুম পরবর্তী তিনটি জরিপ কাজ পরিচালনা করে। এর অংশ হিসেবে চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত (১০দিন) ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার ঘনত্ব ও প্রজনন স্থান নিরীক্ষার জন্য মৌসুম পূর্ব জরিপ কাজ পরিচালনা করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার অভিজ্ঞ কীটতত্ত্ববিদরা ২১টি দলের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় উক্ত জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে। প্রতি ওয়ার্ড ৮টি ব্লকে ভাগ করে দুটি টিম ৪টি ব্লকে ১৫টি করে প্রতি ওয়ার্ডে ৩০টি বাড়িতে জরিপ পরিচালনা করেন। ১০ দিনে ৯৯টি ওয়ার্ডে সর্বমোট তিন হাজার ১৫২টি বাড়িতে সার্ভে করা হয়।
জরিপ করা বাড়িগুলোর মধ্যে ৪৬৩ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা ও পিউপা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বহুতল ভবন ৪২ দশমিক ৩৩ শতাংশ, স্বতন্ত্র বাড়ি ২১ দশমিক ৬ শতাংশ, নির্মাণাধীন ভবন ২১ দশমিক ৬ শতাংশ, সেমিপাকা বাড়ি ১২ দশমিক ৭৪ শতাংশ ও খালি জায়গা ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
উত্তর সিটিতে মশার ঘনত্ব পরিমাপক সূচক ব্রুটো ইনডেক্স (BI) ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং হাউস ইনডেক্স (HI) ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। দক্ষিণ সিটিতে মশার ঘনত্ব পরিমাপক সূচক ব্রুটো ইনডেক্স (BI) ১৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং হাউস ইনডেক্স (HI) ১৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ঝুঁকিতে থাকা ওয়ার্ডগুলো হলো– ১২, ১৩, ২০, ৩৬, ৩১, ৩২, ১৭, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো– ৪, ১৩, ৫২, ৫৪, ১৬, ৩, ৫, ১৫, ১৭, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৪
আরকেআর/এসআইএ