ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মন্ত্রী-এমপিরা দেশের হাসপাতালে সেবা নিলে জনগণের আস্থা ফিরবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৪
মন্ত্রী-এমপিরা দেশের হাসপাতালে সেবা নিলে জনগণের আস্থা ফিরবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা: মন্ত্রী-এমপিরা দেশের হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিলে দেশের স্বাস্থ্য খাতের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন৷

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী তো বিদেশ যাচ্ছেন না৷ তিনি তার চক্ষু তো বাংলাদেশেই পরীক্ষা করিয়েছেন৷ এভাবে যদি আমাদের সংসদ সদস্য (এমপি) এবং মন্ত্রীরা দেশের হাসপাতালে চিকিৎসা নেন, তাহলে দেশের চিকিৎসাসেবার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে আসবে৷

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনে রোগীদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা কমবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো জোর করে কাউকে বিদেশ পাঠাচ্ছি না৷ কেউ যদি তার বাবা বা স্ত্রীকে নিজের পয়সা দিয়ে বিদেশমুখী করে তাহলে সেখানে তো আমার করার কিছুই নেই৷ আমার দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা৷ মানুষ যেন আমাদের দেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা করার ভরসা পায়৷ তারা যেন মনে করে এদেশেও চিকিৎসা আছে৷ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তো বিদেশ থেকেও রোগী আসছেন৷

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস৷ এটা নিয়ে অনেকদিন ধরেই আমরা কাজ করে আসছি৷ রোগী এবং চিকিৎসকদের সুরক্ষা দিতেই এ আইনটি করা হচ্ছে৷ শুধু চিকিৎসকদের সুরক্ষা নয়, বরং রোগীরাও যেনো সঠিক সেবা পায় এবং চিকিৎসায় অবহেলা না হয়; এসব নিয়েই এ আইন করা হচ্ছে৷ এটা এখনো পর্যালোচনার পর্যায়ে আছে৷ আমি মনে করি এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস৷ এটা নিয়ে কয়েকটি মিটিংও আমি করেছি৷ আমি চেষ্টা করব, যত দ্রুত সম্ভব এটাকে সংসদে নিয়ে যেতে৷ সে বিষয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি৷

ডেঙ্গু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের সব চিকিৎসক ডেঙ্গু চিকিৎসা সম্পর্কে জানেন৷ ডেঙ্গু নিয়ে আমাদের একটা গাইডলাইন আছে; সেটাও তারা জানেন৷ আমাদের পর্যাপ্ত স্যালাইন রয়েছে৷ এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)-সহ বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করেছি৷ এখানে আমার পূর্ণ নির্দেশ দেওয়া আছে, যেন কোনোভাবেই স্যালাইনের ঘাটতি না হয়৷ ওপরওয়ালা মাফ করুন, আমরা কেউই চাই না ডেঙ্গুতে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক৷ যদি হয়েই যায়, তাহলে আমরা মনে করি ওপরওয়ালার ইচ্ছায় সেটা সামলাতে পারবো৷

সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরিপে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর ১৭টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ৷ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়টা তাহলে কীভাবে হচ্ছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, সমন্বয়টা করতে আমরা কয়েকটি মিটিং করেছি৷ আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং দুই মেয়রের সঙ্গেও কথা বলেছি৷ মিটিং করে দুই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজটা করতে হবে৷ এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একার কাজ নয়৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার—এই দুই মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত প্রচেষ্টা দিয়েই কাজটা করতে হবে৷  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২৪
আরকেআর/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।