ঢাকা, বুধবার, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ২৮ আগস্ট ২০২৪, ২২ সফর ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে নিখরচায় ৪০ রোগীর অপারেশন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৪
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে নিখরচায় ৪০ রোগীর অপারেশন ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে গরিব-দুস্থ ৪০ জন রোগীর বিনামূল্যে চোখের ছানি, মাংস বৃদ্ধি ও নেত্রনালির অপারেশন করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২২ শে আগস্ট) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাবরিনা সোবহান রোডে অবস্থিত বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার স্থানীয় চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্রের উদ্যোগে দিনব্যাপী এই ফ্রি আইক্যাম্প অপারেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

 

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অবৈতনিক পরিচালক এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. সালেহ আহমদের তত্ত্বাবধানে সার্জারিতে অংশ নিয়েছেন ডা. মৌটুসি ইসলাম, ডা. অ্যান্থনি অ্যালবার্ট এবং ডা. তাসরুবা শাহনাজ। ১৩ জন পুরুষ ও ২৭ জন নারীসহ মোট ৪০ জন রোগীর অপারেশন করা হচ্ছে।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ম্যানেজার এইচ, আর অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্টেশনের মোহাম্মদ আহসান হাবীব বলেন, গরীব-দুস্থ ও অন্ধ রোগীদের চক্ষু চিকিৎসার সাহায্যার্থে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুস্থদের সেবায় আগে থেকেই এ ধরনের প্রক্রিয়া চলে আসছে। সারাদেশে বিনামূল্যে এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রায় তিন হাজার ১০৮ জনের বেশি রোগীকে বিনামূল্যে অপারেশন করা হয়েছে।

এ ক্যাম্পটি চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষ্ণগোবিন্দপুর ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পটিতে এক হাজার ২০০ রোগী দেখা হয়। এর মধ্যে ৪২০ জন রোগী বাছাই করা হয় অপারেশনের জন্য। আজ বৃহস্পতিবার সেখানকার চতুর্থ ব্যাচের ৪০ জন রোগীর অপারেশন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ভিত্তিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ বেজড সেচ্ছাসেবী সংগঠন। আমরা বসুন্ধরার সঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে এক হয়ে কাজ করছি। এখন পর্যন্ত প্রায় আট হাজার রোগীর চোখের সাধারণ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে আইক্যাম্পের মাধ্যমে৷ প্রতিবছর আমরা দুটি করে ক্যাম্প করে থাকি। বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে সার্বিক যে সহযোগিতা পাওয়া যায় সেটা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।  

মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যারা টাকার অভাবে অন্ধ হয়ে যাচ্ছেন তাদের জন্য কিছু করার লক্ষ্যে আমাদের এই কার্যক্রম। আমি ছাত্র অবস্থা থেকেই এই কার্যক্রম করে আসছি। এ সব কার্যক্রমের জন্য আমি গত বছর আন্তর্জাতিক কেয়ারগিভার পুরস্কার পেয়েছি। বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতাল এবং ভিশন কেয়ার সাধারণ মানুষের চোখের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যে সহযোগিতা করছে তা নিশ্চয়ই প্রশংসার দাবিদার।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৪
ইএসএস/এসআইএস  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।