ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা পাবে রাজশাহীর ২৩ হাজারেরও বেশি কিশোরী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৪
বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা পাবে রাজশাহীর ২৩ হাজারেরও বেশি কিশোরী

রাজশাহী: জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে রাজশাহী মহানগরীর ২৩ হাজারের বেশি কিশোরীকে বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মাধ্যমে আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে মাসব্যাপী এ বিশেষ টিকা কার্যক্রম চলবে।

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে সিটি করপোরেশনের হল রুমে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে রাসিক প্রশাসক বলেন, নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের ওপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে এইচপিভি টিকা সংযোজন করেছে। এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিয়ে জরায়ুমুখ ক্যান্সার রুখে দিতে হবে। প্রাথমিকভাবে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণি ছাত্রী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের জন্য পরিচালিত হবে। পর্যায়ক্রমে মহানগরীর বাইরে রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলাতে প্রায় ৯ লাখ ৫৬ হাজার টিকা দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, এ জরায়ু মুখের ক্যান্সারে বাংলাদেশে প্রতিবছর ৫ থেকে ১৩ হাজার নারী মারা যান। সারা পৃথিবীতে নারীর জরায়ুরমুখ ক্যান্সারে মৃত্যু বিবেচনায় এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ৷ আরও ভয়ানক তথ্য হচ্ছে এটি বাংলাদেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তবে নারীরা যদি এ টিকা দিতে পারে তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিরাপদে থাকবে। তাই সব নারীকেই টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে এইচপিভি ক্যাম্পেইন বিষয়ে সার্বিক কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম।  

তিনি জানান, রাজশাহী মহানগরীর জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৪ স্কুল পর্যায়ে ২৪ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ১০ কর্মদিবস চলমান থাকবে। মহাগরীর ৩০৬টি স্কুলের ২৩ হাজার ৫১০ জন শিক্ষার্থীকে এইচপিভি টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্কুল পর্যায়ে ২৫৩টি কেন্দ্রে ২জন টিকাদানকারী, ২ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবে। কমিউনিটি পর্যায়ে ৭ নভেম্বর শুরু হবে এবং পরবর্তী ৮ কর্মদিবসে ৬০টি কেন্দ্রে  টিকা প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকবে। টিকা পেতে নিবন্ধন করতে হবে www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে।

রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাসিকের সচিব মোবারক হোসেনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত। তবে নিরাপদ ও কার্যকর এবং ব্যক্তি উদ্যোগে এটা ক্রয় করতে গেলে পাঁচ থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৪
এসএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।