ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সাংবাদিকের মোবাইল ফোন ও বুম কেড়ে নিলেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৪
সাংবাদিকের মোবাইল ফোন ও বুম কেড়ে নিলেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা

সিরাজগঞ্জ: হাসপাতালের নানা অনিয়মের বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে রোগীর বক্তব্য নেওয়ার সময় সাংবাদিকের মাইক্রোফোন (বুম), স্ট্যান্ড ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোমেনা পারভীন পারুলের বিরুদ্ধে। এ সময় ক্যামেরা স্ট্যান্ড দিয়ে মুকুল হোসেন নামে এক সাংবাদিককে মারধর করা হয়েছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে কাজিপুর ৩১ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকিট কাউন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে এডহক থেকে মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগ পাওয়া মোমেনা পারভীন পারুল ২০২০ সালে কাজিপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্ব পান। এই পদে থেকে বিগত ৫ বছর ধরে তিনি অনিয়ম-দুর্নীতি করে আসছেন। এ সংক্রান্ত সংবাদও বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

এসব নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে সোমবার বিকেলে এশিয়ান টিভির কাজিপুর উপজেলা প্রতিনিধি রাব্বি হাসান হৃদয় ও দৈনিক সরেজমিন বার্তা পত্রিকার রিপোর্টার মুকুল হোসেন হাসপাতাল যান। তারা রোগী ও স্বজনদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন এমন খবর পেয়ে ডা. মোমেনা পারভীন পারুল নিজের কক্ষ থেকে বের হয়ে এসে প্রথমেই তাদের মাইক্রোফোন (বুম) কেড়ে নেন। এরপর ক্যামেরা স্ট্যান্ড কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন এবং ভিডিও তোলার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও কেড়ে নেন।  

এশিয়ান টেলিভিশনের কাজিপুর প্রতিনিধি রাব্বি হাসান হৃদয় বলেন, কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি করতে সেবাগ্রহীতাদের ভিডিও সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলাম। এ সময় ডা. মোমেনা পারভীন পারুল পেছন থেকে অতর্কিতভাবে এসে ধাক্কা দেন। তিনি বুম, স্ট্যান্ড কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন এবং ভিডিওর কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। ক্যামেরা স্ট্যান্ড দিয়ে তিনি সাংবাদিক মুকুল হোসেনকে মারধরও করেন।

এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোমেনা পারভীন পারুলের মোবাইল নম্বরে ফোন কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।

কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম বলেন, কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি ভুল বোঝাবুঝির ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৪
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।