পাটগ্রাম(লালমনিরহাট) থেকে ফিরে: বাদশা, রাজু, মোমিন, সালাম, আজানূরসহ অনেক শ্রমিকের পদশব্দে পাটগ্রাম উপজেলা চত্বর গমগম করছে। জানা গেল এরা সবাই এক সময় পাথর ভাঙা শ্রমিকের কাজ করতেন।
এখন আর কাজ করেন না। অথবা বলা যায় কাজটি করতে একেবারেই অক্ষম।
ভয়াবহ সিলিকোসিস নামের এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত তারা। মৃত্যু উপত্যকায় দাঁড়িয়ে থাকা এই শ্রমিকদের কারো বয়স পঁচিশ, কেউ বাইশ অথবা কেউ বড়জোর ত্রিশ।
অথচ কঠিন সত্য হল অল্প বয়েসের এই তরতাজা মানুষগুলো খুব শিগগিরই একে একে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে। না, এদের কাউকেই আর বাঁচানো সম্ভব নয়। সিলিকোসিসের রোগটির প্রাথমিক পর্যায়ে হয়তো চিকিৎসা আছে কিন্তু বেশি দেরি হয়ে গেলে এর কোন চিকিৎসা নেই।
এমনটাই জানালেন জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের ডাক্তার এবং সিলিকোসিস বিশেষজ্ঞ ফজলে রাব্বী মোহাম্মদ।
খবরটা প্রথম শুনতে পাই ডাক্তার ফজলে রাব্বী মোহাম্মদের কাছ থেকেই। ডাক্তার রাব্বী এই জটিল আর ভয়াবহ রোগটি নিয়ে গবেষণা করছেন।
তিনি জানালেন লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের পাথর ভাঙা শ্রমিকরা সিলিকোসিস নামের ভয়াবহ এক রোগে আক্রান্ত। এরইমধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে আঠার জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এবং আরো অর্ধশত শ্রমিক এই ভয়াবহ রোগটি তাদের ফুসফুসে ধারণ করে মৃত্যুর জন্য দিন গুণছেন।
কি ভয়াবহ এক চিত্র! সত্যি বলতে সিলিকোসিস নামে যে মরণ ব্যাধি একটি রোগ আছে এবং সেই রোগে মানুষের নিশ্চিত মৃত্যু ঘটে এই ভয়াবহ তথ্যটি তখনো আমার জানা ছিল না।
ডা. রাব্বী আরও জানালেন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ(বিলস) এর প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে একদল ডাক্তার এই রোগ নিয়ে কাজ করছেন। জানা গেল বিলস এর তত্বাবধানে এই দলটি ঢাকা থেকে পাটগ্রাম হয়ে বুড়িমারি যাবে। সেখানে স্বাস্থ্য ক্যাম্প বসিয়ে স্থানীয় পাথর ভাঙা শ্রমিকদের ফুসফুসের খবরাখবর নেওয়া, অসুস্থ রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া, সিলিকোসিস রোগটি সম্পর্কে স্থানীয় মানুষদের মাঝে সচেতনতা তৈরি করা, এ রোগে যেন ভবিষ্যতে কেউ আক্রান্ত হতে না পারে এর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা দেওয়াই দলটির অন্যতম কাজ ও উদ্দেশ্য।
তাদের এই দলটিতে আছেন জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের দুজন ডাক্তার ফজলে রাব্বী মোহাম্মদ এবং ডাক্তার খন্দকার হাফিজুর রহমান। আছেন বাংলাদেশ সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডাক্তার সৈয়দ আবুল এহসান। এই দলের সাথে যুক্ত আছেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার তাপস বোস।
সার্বক্ষনিক যোগাযোগ ও সমন্বয় রক্ষা করছেন বিলস এর গবেষণা ও প্রকল্প উন্নয়ন কর্মকর্তা আফজাল কবির খান আর দলটির পুরো বিষয় নিয়ে দেখভাল করছেন বিলস’র সহকারী নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মেদ।
পাটগ্রাম থেকে বুড়িমারি বড়জোর মিনিট কুড়ি পথ। ছোট্ট এই ইউনিয়নটিতে পার রেখে স্পষ্টই বোঝা যায় যে দারিদ্রতা নামের কঠিন এই শব্দটি গ্রামের সাধারণ মানুষদের জীবনের সাথে অষ্টেপিষ্ঠে গেঁথে আছে। কৃষিকাজের পাশাপাশি এখানকার হতদরিদ্র মানুষেরা কাজ করেন পাথর ভাঙার কল-কারখানাগুলোতে।
জানা যায় প্রায় শ’ খানেক পাথর ভাঙার কারখানা আছে এই বুড়িমারি ইউনিয়নে। ফাতেমা এন্টারপ্রাইজ, রোহন এন্টারপ্রাইজ, মাসুদ এন্টারপ্রাইজ, মোজাইক ফেক্টরি(সেন্টু), রোকন এন্টারপ্রাইজ ইত্যাদি।
এই কারখানাগুলোতে লাইম স্টোন, কোয়ার্জ, ডোলোমাইট সহ বিভিন্ন পদের পাথর ভাঙা হয়। কারখানা গুলো পরিদর্শন করে দেখা যায় এই কারখানাগুলোর কোনটাতেই স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে কাজ করার নূন্যতম কোন পরিবেশ নেই। সরকারি নিয়ম-নীতিমালাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এখানকার কারখানার মালিকরা এই সাধারণ হতদরিদ্র শ্রমিকদের জীবন কে জিম্মি করে দুপয়সা কামানোর ধান্দায় মহাব্যস্ত।
দেখা গেল পাথর ভাঙার শ্রমিকরা সেখানে বড় বড় পাথরগুলো মেশিনের এক প্রান্তে তুলে দিচ্ছেন আর তা গুড়ো হয়ে মেশিনের অপর প্রান্তে বস্তা বন্দী হয়ে স্তুপ হয়ে জমা হচ্ছে। কারখানার ভেতর পাথর ভাঙার সময় এই গুড়ায় উৎপন্ন সাদা ধূয়ায় তখন সামনের খুব কাছের মানুষকেও ঠিকভাবে চেনা যায় না। তখন শ্রমিকদের নিশ্বাসের সাথে ফুসফুসে ঢুকে পড়ছে বিষাক্ত এই পাথরের গুড়াগুলো। আর এর থেকেই সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ রোগ সিলিকোসিস।
মানুষের শরীরে কিভাবে বাসা বাঁধছে এই ভয়াবহ রোগ সিলিকোসিস? এমন প্রশ্ন ছিল জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের ডাক্তার ফজলে রাব্বি মোহাম্মদ এর কাছে।
ফজলে রাব্বী মোহাম্মদঃ মুক্ত সিলিকার ক্রিস্টাল বা সিলিকন ডাই অক্সাইড নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণের মাধ্যমে সিলিকোসিস রোগটির জন্ম হয়। তখন এই সিলিকা ফুসফুসের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধকারী কোষ(ম্যাক্রোফেজ) এর কার্যক্ষমতা নষ্ট করে ফেলে। যার ফলে মানব দেহের ফুসফুসে এক ধরনের ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারিয়ে যায়।
প্রশ্নঃ আক্রান্ত রোগীদের মুক্তির উপায় নেই?
ফজলে রাব্বী মোহাম্মদঃ রোগ প্রতিরোধই এ রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়। সিলিকা তৈরি হয় এমন সব কলকারখানাগুলোতে বায়ূ নিয়ন্ত্রণ করে ধুলিকনা গুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। কারখানায় যন্ত্রপাতির উন্মুক্ত ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কারখানার শ্রমিকদের বিশেষ ধরনের মাস্ক ব্যাবহার খুবই জরুরি। মুল কথা হল পেশাগত দায়িত্বপালনের সময় কারখানারা ধুলিকনাগুলো যাতে নিঃশ্বাসের সাথে ফুসফুসে যেতে না পারে এর জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
প্রশ্নঃ প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত রোগীদের আপনারা কি ধরনের চিকিৎসা দিচ্ছেন?
ফজলে রাব্বী মোহাম্মদঃ রোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পরলে রোগীর জন্য ভয়ের কিছু নেই। সেক্ষেত্রে রোগটি যাতে আরো বেশি গভীরে প্রবেশ না করে সে জন্য রোগীর তার কর্মস্থল অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়মিত হওয়া প্রয়োজন। সিলিকোসিস রোগীর যক্ষা হওয়ার প্রবণতা থাকে, সেক্ষেত্রে তাকে যক্ষার চিকিৎসাও দিতে হবে। উন্নত বিশ্বে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা আছে।
প্রশ্নঃ যতদূর জানা যায় পাথর ভাঙার গুড়ো থেকেই এই রোগের সৃষ্টি। অন্য কোন উপায়ে রোগটি ছড়াতে পারে কি?
ফজলে রাব্বী মোহাম্মদঃ সিলিকোসিস রোগটি হয় যখন সিলিকা ফুসফুসে প্রবেশ করে ঠিক তখনই। সেক্ষেত্রে পাথর উত্তোলন, পাথর খোদাই বা গুড়া করা, মোজাইক সিরামিক কারখানা, দালান কোঠা মেরামত এর শ্রমিকরা সবসময়ই সিলিকার সংস্পর্শে থাকে এবং এদেরই সবচেয়ে বেশি রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে।
প্রশ্নঃ সিলিকোসিস রোগটি ঠেকানোর জন্য আপনারা কি ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছেন?
ফজলে রাব্বী মোহাম্মদঃ কারখানা বা খনিতে শ্রমিকের জন্য উপয্ক্তু পরিবেশ বিধান বিষয়ক বাংলাদেশের পেশাগত রোগ বিষয়ক আইনে রয়েছে। এ দেশে সিলিকোসিস কে পেশাগত রোগ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। শ্রমিকদের মধ্যে সিলিকোসিস রোগটি নিশ্চিত করতে সরকার এরইমধ্যে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল কে নিয়োজিত করেছে। রোগটি শনাক্ত হওয়ার পরপরই বাংলাদেশ সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয় তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
প্রশ্নঃ রোগটি সংক্রামক হওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে কি?
ফজলে রাব্বী মোহাম্মদঃ না, সিলিকোসিস একটি অসংক্রামক রোগ। তবে সিলিকোসিস রোগীদের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় যা থেকে যক্ষা হওয়ার একটা ঝুঁকি চলে আসে। আর যক্ষা কিন্তু একটি সংক্রামক রোগ।
বুড়িমারি ইউনিয়নের ছেলে বাদশা। চার বছর আগেও পাথর ভাঙার শ্রমিকের কাজ করতেন। এখন আর কাজ করেন না। হঠাৎ তাকে দেখে মনে হল যেন কোন এক নর কংকাল আমার দিকে তাকিয়ে হাসছেন। গায়ে এক ছটাক মাংস নেই। হার জিরজিরে কংকালসার এই মানুষটিকে দেখে বেশ বোঝাই যায় যে পৃথিবীতে তিনি আর খুব বেশিদিন হয়তো নেই। ডাক্তারদের কাছ থেকেও ঠিক সেরকম আভাসটিই পেলাম। বাদশা খুব ভয়াভহরকমভাবেই সিলিকোসিসে আক্রান্ত। দুটো ফুসফুসই প্রায় অকেজো হওয়ার পথে। ঢাকায় বক্ষব্যাধি হাসপাতাল হয়ে এখন বুড়োমারিতেই মৃত্যুর জন্য দিন গুণছেন। তবু চোখ ভরা তার অনেক স্বপ্ন। বাদশা বাঁচতে চান। চোখে এক রকম আকুতির রং ফুটিয়ে ডাক্তার ফজলে রাব্বীর প্রতি তার আব্দার, ” ডাক্তারসাব আমারে বাঁচান। আমি বাঁচতে চাই”। কিন্তু বেলা অনেক দূর গড়িয়ে গেছে। ” তাকে বাঁচানোর আর কোন সুযোগই নেই। জানেনতো, সিলিকোসিসের কোন চিকিৎসা নেই” ।
ফিসফিস করে কানে কানে কথাগুলো আমাকে বললেন ডাক্তার ফজলে রাব্বী। আমি খুব অসহায়ের মত আবারো তাকালাম বাদশার দিকে। কি সুন্দর নাম তার! বাদশা। মা-বাবা কত আদর করেই হয়তো এই নামটি রেখেছিলেন। অথচ আজ এই বাদশা শুধু পেটের দায়ে পাথর ভাংতে গিয়ে সিলিকোসিস নামের এই ভয়াবহ রোগটার কাছে নিজের জীবনকে যেন অসহায়ের মত বলি দিয়ে দিলেন। বাদশা জানতে পারলেন না কি ছিল তার অপরাধ? তার ফুসফুস দুটো অকেজো হওয়ার পেছনে কারা দায়ী? বাদশা বিবাহিত। ফুটফুটে তিনটি মেয়ে আছে তার। না, মেয়ে তিনটের বিয়ে তিনি দেখে যেতে পারবেন না। বউটাকে নিয়ে জো¯œা রাতে পালা গানও আর দেখতে যেতে পারবেন না। মৃত্যুই যে বাদশার একমাত্র ঠিকানা।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ(বিলস) তাদের অন্যান্য কার্যকলাপের পাশাপাশি বাংলাদেশের কল কারখানাগুলোর শ্রমিকরা যাতে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে কাজ করতে পারেন এই বিষয়গুলো নিয়ে সবসময়ই সোচ্চার। পেশাগত কারণেই বুড়িমারি পাথর ভাঙা কারখানা শ্রমিকদের সিলিকোসিসের বিষয়টি নিয়েও তারা দেখভাল করছেন।
দেখা গেল রোগটি সম্পর্কে এলাকাবাসীদের কে সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে বিলস কর্তৃপক্ষ বিভিন্নরকম কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। সিলিকোসিস নিয়ে বুড়িমারি এলাকায় তাদের কাজগুলো আরো বিশদভাবে জানতে কথা বলি বিলস’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মেদ এর সঙ্গে।
তিনি বলছিলেন, শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত নিশ্চয়তা দেওয়া বিলস এর পেশাগত অন্যতম একটি কাজ। এটি আমাদের চলমান কার্যক্রমের একটি অংশ। গত জুন মাসের দিকে পত্রিকার একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম বুড়িমারি এলাকায় সতের জন পাথর ভাঙা শ্রমিক সিলিকোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। যেহেতু বিষয়টার ভয়াবহতা অনেক বেশি তাই আমরা খুব দ্রততার সঙ্গেই কাজটি হাতে নিয়েছি।
বিষয়টি নিয়ে আমরা জাতীয় বক্ষ্যব্যাধি হাসপাতাল, শ্রম প্রশাসন, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর, স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা কর্মকর্তা, স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধি এদের সবাইকে নিয়ে একটা গবেষণা দল তৈরি করি। দলটির কাজ সিলিকোসিস আক্রান্ত রোগীদের যতটুকু সম্ভব স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া, রোগটি যাতে আর না হয় সে জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় জনমত সৃষ্টি করা, স্বাস্থ্য ক্যাম্প বসিয়ে পাথর ভাঙা শ্রমিকদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কাটি করে যাচ্ছি।
শেষ কথা হল এই যে সিলিকোসিস পেশাগত ভাবে উৎপন্ন একটি রোগ। তাই এই রোগটি থেকে পরিত্রানের উপায় আমাদের হাতেই আছে। মানুষের চিন্তা বা বিচক্ষণতার অভাবের মানুষের জীবন বিপন্ন হবে তা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের শ্রম ও কলকারখানার বিষয়ক আইন রয়েছে। প্রয়োজন সেসব আইনের যথাযথ প্রয়োগ। যেখানে উন্নত বিশ্বে মানুষের গড় আয়ু দিন দিন বাড়ছে সেখানে বাংলাদেশে কলকারখানা গুলোর ত্রুটিগত স্থাপনার কারণে মানুষের জীবন অকালেই ঝড়ে যাচ্ছে। এই নাজুক পরিস্থিতি থেকে আমাদের দ্রুত পরিত্রাণ প্রয়োজন।
*লেখক মানবতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত
[email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১২
সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর