ঢাকা: আজ সোমবার বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
পরিসংখ্যানে জানা যায়, সারাবিশ্বে প্রতি ৬ জনে একজন এ রোগের ঝুঁকিতে আছে। স্ট্রোক মস্তিষ্কের একটি রোগ। স্ট্রোকে আক্রান্তদের দুই-তৃতীয়াংশই মারা যান বা চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমে গেলে ও অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিলে মস্তিষ্কের কোষ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। একে স্ট্রোক বলা হয়।
বিশ্বের মধ্যে আমেরিকানদের এক-তৃতীয়াংশের মৃত্যুর কারণ স্ট্রোক। বাংলাদেশেও এ সংখ্যা কম নয়। স্ট্রোক সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ২৯ অক্টোবর ‘বিশ্ব স্ট্রোক দিবস’ পালন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য-‘কারণ আমি সচেতন...’
স্ট্রোকের লক্ষণ হলো- হাত-পা হঠাৎ অবশ হয়ে যাওয়ার কারণে তা নাড়াতে না পারা, মুখ বেঁকে যাওয়া, হাসলে মুখ অন্য পাশে চলে যায়, কথা জড়িয়ে যাওয়া। এছাড়া শরীরের একপাশ অবশ হওয়া, হঠাৎ চোখে না দেখা, খাবার গিলতে সমস্যা হওয়া, হাঁটতে না পারা, হঠাৎ প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হওয়া।
এছাড়া বমি বমি ভাব বা বমি, ঘুম ঘুম ভাব, চোখে একটি জিনিস দুটি দেখা। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবজ্ঞা না করে দ্রুত চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
২৯ অক্টোবরকে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস হিসেবে ২০০৭ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশানের অধীনে এটা পালন করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৮, অক্টোবর ২৯, ২০১২
এডিবি/ সম্পাদনা: প্রভাষ চৌধুরী, নিউজরুম এডিটর