ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ বৈশাখ ১৪৩২, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সবার জন্য উন্মুক্ত হলো রেলওয়ে হাসপাতাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৫
সবার জন্য উন্মুক্ত হলো রেলওয়ে হাসপাতাল

ঢাকা: বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হাসপাতালগুলো এখন থেকে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীর পাশাপাশি সাধারণ জনগণও চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।



রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান নিজ নিজ দপ্তরের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

সমঝোতা স্মারকের শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হাসপাতালগুলোতে রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, রেলপোষ্য ও রেলওয়ের যাত্রী সাধারণের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের জন্য চিকিৎসা সুবিধা উন্মুক্ত করা এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সাথে যৌথভাবে চিকিৎসা দেওয়া হবে।

এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রেলপোষ্য ও যাত্রী সাধারণের চিকিৎসা সংক্রান্ত সব সুযোগ-সুবিধা আগের মতো বহাল থাকবে।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন হাসপাতালগুলোর রোগীদের উপচে পড়া ভিড় লেগেই থাকে। অন্যদিকে রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হাসপাতালে রোগীর উপস্থিতি একেবারেই নগণ্য। এমতাবস্থায় রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যৌথ ব্যবস্থাপনায় রেলওয়ে হাসপাতালগুলো সর্ব সাধারণকে সেবাদানের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হলে অধিক সংখ্যক মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে স্বাস্থ্যসেবা নিতে সক্ষম হবে। এ কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতালের সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি এ সমঝোতা স্মারকের শর্ত মোতাবেক যৌথভাবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে গঠিত একটি কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত/পরিচালিত হবে। বিদ্যমান জনবল কাঠামোর অধীনে নিয়োগ করা জনবলের প্রশাসনিক ও সংস্থাপনিক কার্যক্রম বাংলাদেশ রেলওয়ের আওতায় আগে ন্যায় বলবৎ থাকবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত ইনভেন্টরি কমিটি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত তালিকা অনুসারে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ হাসপাতালের সব অস্থাবর সম্পত্তি বুঝে নেবে এবং এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন ও বিয়োজনের বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করবে।

রেলওয়ে হাসপাতালে বিদ্যমান জনবল কাঠামোতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ না থাকায় উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতকল্পে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সংযুক্তিতে পদায়নে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

সমঝোতা স্মারকের আওতায় রেলওয়ে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সেবা প্রদান ফি বাবদ আদায়কৃত অর্থের ব্যবস্থাপনা সরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধি-বিধান অনুযায়ী হবে।

হাসপাতালগুলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য সচিব, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সদস্যদের সমন্বয়ে একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকবে এবং প্রতিটি হাসপাতালের জন্য পৃথক পৃথক স্থানীয় যৌথ ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকবে। এই ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠন ও কার্যপরিধি সরকার কর্তৃক আদেশের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে।

অনুষ্ঠানে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়, মিজ নূরজাহান বেগম, উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৫
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।