হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে অফিসে ঢুকেছেন। মাথা মুছে ডেস্কে বসতে না-বসতেই শুরু হয়ে গেল গলা খুসখুস।
লবঙ্গের একটি প্রধান উপাদান হলো নাইজেরিসিন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এই উপাদানটির জুড়ি মেলা ভার। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই উপাদানটির জন্যই রক্ত থেকে শর্করা বিভিন্ন কোষে পৌঁছে দেওয়া, ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলির কার্যক্ষমতা বাড়ানোর মতো উপকার হয়। ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে লবঙ্গ একটি অন্যতম অস্ত্র হতে পারে।
* সর্দি-কাশি, সাইনাসের ব্যথায় লবঙ্গ-তেল মালিশের উপকারিতা অনেকেই জানেন। এর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়া ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণের জন্য দাঁতের ব্যথায় এটি খুব উপকারী। নিয়মিত লবঙ্গ ভেজানো পানি কুলকুচি করলে মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
*অনেকেই আছেন মর্নিং সিকনেসে ভুগছেন, তারা খালি পেটে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে উপকার পেতে পারেন। পুষ্টিবিদরা জানান, যখন এটি মুখের লালার সঙ্গে মিশে যায়, তখন তা নির্দিষ্ট কিছু এনজাইম তৈরি করে, যা বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে।
* লবঙ্গ হজমে সহায়তা করে। একইসঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।
* বিভিন্ন কারণে পাকস্থলীর আলসারের সমস্যা বাড়ে। গবেষণা বলছে, লবঙ্গ পাকস্থলীতে মিউকাস উৎপাদনে সাহায্য করে। এই মিউকাসই সংক্রমণের হাত থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা করতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। তবে লবঙ্গের অতিরিক্ত ব্যবহার ডেকে আনতে পারে সমস্যাও। সেগুলো:
* অনেকে অকারণে মুখে লবঙ্গ রাখতে পছন্দ করেন। মাত্রাতিরিক্ত লবঙ্গ খেলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে।
* যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত লবঙ্গ সেবন হাইপারগ্লাইসিমিয়ার কারণ হতে পারে।
* লবঙ্গ থেকে কিন্তু হতে পারে অ্যালার্জিও। তাই লবঙ্গ খেয়ে দেখুন কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না। র্যাশ বা চুলকানি কিছু দেখা দিলে লবঙ্গ খাওয়া বন্ধ করা প্রয়োজন।
এএটি