ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, ০১ মে ২০২৫, ০৩ জিলকদ ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

টিকার ঘাটতি সফলভাবে মোকাবিলা করেছি: ডা. সায়েদুর রহমান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৩৯, এপ্রিল ৩০, ২০২৫
টিকার ঘাটতি সফলভাবে মোকাবিলা করেছি: ডা. সায়েদুর রহমান

ঢাকা: টিকার যে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল তা সফলভাবে মোকাবিলা করেছি উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইউনিসেফ বাংলাদেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এবং সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশে টিকা কার্যক্রমের সাফল্য, প্রেক্ষিত, বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ এবং করণীয় তুলে ধরার লক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।

অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় টিকাদান প্রোগ্রামকে আরও জোরদার করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর টিকার যে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল তা সফলভাবে মোকাবেলা করেছি এবং বাজেট বরাদ্দের মাধমে টিকার সাপ্লাই নিশ্চিত করেছি। এ বছরও টিকা ক্রয়ের জন্য যথেষ্ট বরাদ্দ গ্রহণ করা হয়েছে। টিকা ক্রয়ের কাজে ইউনিসেফ আমাদের যথেষ্ট সহায়তা করছে। আমার মনে হয় সবাই একসঙ্গে কাজ করে গেলে আমরা টিকাদান প্রোগ্রামকে আরও সফল করতে পারবো।

সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান বলেন, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) বাংলাদেশ সরকারের সফল উদ্যোগগুলোর অন্যতম। গত ৪৫ বছরে বাংলাদেশ টিকাদান কার্যক্রমে আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করছি এবং ভ্যাকসিন-প্রতিরোধযোগ্য রোগ (ভিপিডি) নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণেও যথেষ্ঠ অগ্রগতি অর্জন করতে সামর্থ্য হয়েছি। বর্তমানে আমরা টিকাদান কার্যক্রমকে আরও জোরদার করতে কাজ করে যাচ্ছি।

ইউনিসেফ বাংলাদেশড় হেলথ ম্যানেজার ডা. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ইপিআই একটি মূল্যবান বিনিয়োগ, যেখানে প্রতি ১ মার্কিন ডলার বিনিয়োগের জন্য ২৫.৪ মার্কিন ডলার লাভ হয়।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এবং গ্যাভী সিএসও স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ। তিনি বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য বর্তমান প্রতিবন্ধকতা এবং উত্তরণের উপায়সমূহ নিয়ে গুরত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো আবু জাফর, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. শেখ ছাইদুল হক, যুগ্মসচিব (জনস্বাস্থ্য অধিশাখা), ডা. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী এবং স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা, দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, একাডেমিক, গবেষক ও গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সঞ্চালনা ও স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন, ইউনিসেফ বাংলাদেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পলিসি অ্যাডভাইজার এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম।

আরকেআর/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।