ঢাকা, সোমবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩২, ০৫ মে ২০২৫, ০৭ জিলকদ ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বিশ্বমানের চিকিৎসাব্যবস্থা কত দূর

শিমুল মাহমুদ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:১৯, মে ৫, ২০২৫
বিশ্বমানের চিকিৎসাব্যবস্থা কত দূর প্রতীকী ছবি

চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থায় আস্থার সংকট এবং রোগীদের বিদেশমুখিতা দেশের স্বাস্থ্য খাতের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। এই খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতে পুঁজির বিনিয়োগ যথাযথ হয়নি; বিনিয়োগ হয়েছে শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক।

তাই উন্নত ও বিশেষজ্ঞ সেবা পেতে ঢাকামুখী হচ্ছেন সারা দেশের মানুষ। অবস্থাসম্পন্ন অনেকেই যাচ্ছেন দেশের বাইরে।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে চিকিৎসাসেবার চাহিদা ক্রমবর্ধমান, তবে বাড়ছে না মান। মান নিশ্চিতের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাক্রেডিটেশনের বিষয়েও বেশ অনাগ্রহ এসব প্রতিষ্ঠানের। সম্ভাবনা ও প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও শাসন, জবাবদিহি ও নৈতিক মান এখনো প্রশ্নবিদ্ধ। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসাসেবার মান, প্রযুক্তি ও আস্থা বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে।

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) সভাপতি এম এ মুবিন খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দেশের করপোরেট হাসপাতালগুলো ভালো সেবা দিচ্ছে। কিন্তু এগুলো শুধুই ঢাকায়। জেলা ও বিভাগীয় শহরে যদি করপোরেট হাসপাতাল গড়ে তোলা যায় তাহলে রোগীদের বিদেশমুখিতা অনেকটাই কমে যাবে। ’

বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবা খাত পিছিয়ে পড়েছে কোথায়? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিদেশের উন্নত চিকিৎসা, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকের উপস্থিতি মানুষকে আকর্ষণ করে।

বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছে। নির্দিষ্ট কিছু রোগের অভিজ্ঞ স্পেশালিস্টেরও অভাব রয়েছে (যেমন—ক্যান্সার, লিভার ট্রান্সপ্লান্ট, কিডনি, নিউরোসার্জারি)। এ ছাড়া রয়েছে প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা। কিছু হাসপাতাল উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও সবখানে এসব প্রযুক্তি সহজলভ্য নয়। চিকিৎসার মান, প্রযুক্তি ও আস্থা বৃদ্ধিতে দেশের করপোরেট হাসপাতালগুলো নজর দিলে এই ট্রেন্ড বদলাতে পারে। ’

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে দেশে বেসরকারি হাসপাতাল ছিল ৩৮৪টি। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে নিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সংখ্যা সাত হাজার ৮৫৪। এসব হাসপাতালে শয্যা রয়েছে এক লাখ ১১ হাজার। এ ছাড়া রোগ নিরীক্ষা কেন্দ্র আছে প্রায় ১০ হাজার। ব্লাড ব্যাংক আছে ১৮০টি।

স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী, দেশের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে রোগীরা বছরে ব্যয় করছেন সোয়া ১৮ হাজার কোটি টাকা। এই ব্যয়ের ৪৮ শতাংশ সরকারি এবং ৫২ শতাংশ বেসরকারি হাসপাতালে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশে জনপ্রতি চিকিৎসা ব্যয় গড়ে ৫৪ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ছয় হাজার ৫৬১ টাকা)।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দেশের স্বাস্থ্য খাতের বাজারের আকার ছিল প্রায় এক হাজার ৪০০ কোটি ডলারের। একই সঙ্গে তারা বলছে, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর স্বাস্থ্যসেবা নিতে বহির্গমনকারী রোগীর সংখ্যা সাত লাখ। বিডার হিসাবে, এই রোগীদের স্বাস্থ্যসেবায় প্রায় ৩৫০ কোটি ডলার দেশের বাইরে চলে যায়। ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বহির্গমনকারী এই রোগীদের বার্ষিক মাথাপিছু ব্যয় গড়ে পাঁচ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ছয় লাখ সাত হাজার ৫১৪ টাকা)।  

বিদেশে চিকিৎসা নেওয়া শীর্ষ দশে বাংলাদেশ
যেসব দেশের মানুষ বিদেশে গিয়ে চিকিৎসাসেবা নেয় এমন দেশের তালিকার শীর্ষ দশে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) বিজ্ঞানী আহমদ এহসানূর রহমান বলেন, ‘এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের যেসব দেশ থেকে বেশি রোগী চিকিৎসার জন্য অন্য দেশে যায়, এমন ১০টি দেশের মধ্যে শীর্ষে ইন্দোনেশিয়া। এই তালিকার ১০ নম্বরে আছে বাংলাদেশ। অন্য দেশগুলোর মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইতালি, জার্মানি, লেসোথো, দুবাই ও লিবিয়া। ’

বাংলাদেশে থেকে বিদেশমুখী রোগীদের ৫১ শতাংশই যায় ভারতে, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে যায় ২০ শতাংশ করে ৪০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে যাওয়ার হার ৩ শতাংশ, ২ শতাংশ যায় জাপান ও মালয়েশিয়ায় এবং ১ শতাংশ করে যায় চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

আহমদ এহসানূর রহমান আরো বলেন, ‘আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ভারতে চিকিৎসা নিতে যায়, এই তালিকায় প্রথমে আছে ব্যবসায়ীরা, দ্বিতীয় স্থানে বেসরকারি চাকরিজীবীরা। তৃতীয় স্থানে দিনমজুররা। এরপর ক্রমানুসারে আছে যথাক্রমে সরকারি চাকরিজীবী, শিক্ষক ও গৃহিণী। তার পরেই চিকিৎসকরা। অন্য উল্লেখযোগ্য পেশার মধ্যে আছে সাংবাদিক, পুলিশ, শিক্ষার্থী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, প্রকৌশলী, প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য। ’

তিনি জানান, আটটি দেশে যাওয়া রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিদেশে মানুষ মূলত রোগ নির্ণয় বা চেকআপের জন্যই বেশি যান। তবে ২০টিরও বেশি কারণে বাংলাদেশি রোগীরা ভারতে চিকিৎসা নিতে যান। এর মধ্যে রয়েছে হৃদযন্ত্রসংশ্লিষ্ট অস্ত্রোপচার, এর পরই চোখের ছানিজনিত অস্ত্রোপচার। তৃতীয় ও চতুর্থ বড় কারণ যথাক্রমে কিডনি রোগ ও ক্যান্সার।  

জনসংখ্যার অনুপাতে শয্যা বেশি ঢাকা জেলায়
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ২০ জেলায় প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে হাসপাতালের গড় শয্যাসংখ্যা দুটিরও কম। গড়ে পাঁচটির বেশি শয্যা আছে মাত্র পাঁচ জেলায়। সবচেয়ে কম শেরপুরে। এই জেলায় ১.৩০টি শয্যার চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছেন প্রতি ১০ হাজার মানুষ। লক্ষ্মীপুর জেলায় শয্যা রয়েছে ১.৪৪টি। পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে নরসিংদী (১.৪৯), হবিগঞ্জ (১.৫০), গাজীপুর (১.৫৬), সিরাজগঞ্জ (১.৫৮), চাঁপাইনবাবগঞ্জ (১.৬১), নাটোর (১.৬২), গাইবান্ধা (১.৬৩)। চুয়াডাঙ্গায় ১০ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে হাসপাতালে শয্যা রয়েছে ১.৬৬টি। এ ছাড়া যে ১০টি জেলায় ১০ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে গড় শয্যাসংখ্যা দুটির কম সেই জেলাগুলো হলো ভোলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, টাঙ্গাইল, যশোর, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাট।

জনসংখ্যার অনুপাতে হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা সবচেয়ে বেশি ঢাকায়। এই জেলায় ২৮টি শয্যা রয়েছে প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে রাজশাহী (৯ট) ও তৃতীয় খুলনা (৮টি)। এর পরের অবস্থানে রয়েছে বান্দরবান (৬টি) ও বরিশাল (৬টি)।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. মুশতাক হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে পুঁজির বিনিয়োগ সঠিক হয়নি, বিনিয়োগ হয়েছে ঢাকাকেন্দ্রিক। দেশের ৯৫ শতাংশ অস্ত্রোপচার হয় ঢাকায়। সারা দেশে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা থাকলে চিকিৎসাসেবার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠত না। ’

তিনি আরো বলেন, ‘যেহেতু প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য নয়, তাই দেরিতে মানুষ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন। বিশেষ করে যখন পরিস্থিতি বেগতিক হয়, তখন জায়গাজমি বিক্রি করে বিদেশে উন্নত চিকিৎসাসেবা নিতে চলে যান। কারণ দেশের পাঁচতারা হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা ব্যয় বেশি। সে তুলনায় সেবার মান ভালো নয়। ’

দেশের স্বাস্থ্যসেবার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নেই
বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবার মান নির্ণয়ের অতি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হলো অ্যাক্রেডিটেশন। যেসব হাসপাতাল রোগীদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে, তাদেরই দেওয়া হয় এই স্বীকৃতি। অথচ আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী যোগ্যতার আনুষ্ঠানিক এই স্বীকৃতির প্রতিও আগ্রহ নেই দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর।  বাংলাদেশের কেবল দুটি বেসরকারি হাসপাতাল যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট কমিশন ইন্টারন্যাশনালের (জেসিআই) স্বীকৃতি অর্জন করেছে—ইউনাইটেড হাসপাতাল ও এভারকেয়ার হাসপাতাল।

বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবার স্বর্ণমান ধরা হয় জেসিআই স্বীকৃতিকে। এটি অর্জন করতে যেকোনো হাসপাতালকে হাজারেরও বেশি বিষয়ে কঠোর মান বজায় রাখতে হয়। জেসিআই ছাড়াও কলেজ অব আমেরিকান প্যাথলজিস্ট (সিএপি), যুক্তরাজ্যের ইউনাইটেড কিংডম অ্যাক্রেডিটেশন ফোরাম (ইউকেএএফ), ভারতের ন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড ফর হসপিটাল অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (এনএবিএইচ), অস্ট্রেলিয়ান কাউন্সিল অন হেলথকেয়ার স্ট্যান্ডার্ডসসহ (এসিএইচএস) আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বেশ কয়েকটি সংস্থা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতিস্বরূপ অ্যাক্রেডিটেশন দেয়। কোনো কোনোটি প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার অ্যাক্রেডিটেশন দেয়, আবার কোনোটি দেয় পুরো হাসপাতালের স্বীকৃতি।  

জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায়  দক্ষতা ও জ্ঞানের স্বল্পতা
দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের দক্ষতা ও জ্ঞান ‘গড় বা মধ্যম’ পর্যায়েরও কম। বাংলাদেশ জার্নাল অব মেডিক্যাল এডুকেশনের (বিজেএমই) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। এতে দেশের চারটি সরকারি ও চারটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক, শিক্ষক, শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের তথ্য নেওয়া হয়েছে। আর তাতে দক্ষতা ও জ্ঞানের মূল্যায়ন করা হয়েছে চিকিৎসকদের নিজেদের মতামতের ভিত্তিতেই।

বিজেএমইতে প্রকাশিত গবেষণায় পাঁচটি নির্দেশকের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জরুরি অবস্থায় লাইফ সাপোর্ট, শ্বাসনালি ব্যবস্থাপনা ও জরুরি ফার্মাকোলজি, কার্ডিওপালমোনারি ব্যবস্থাপনা, সাধারণ জরুরি পরিস্থিতিতে ওষুধ ও ব্যবস্থাপত্র লেখার পদ্ধতিগত দক্ষতা। পাঁচটি নির্দেশকের প্রায় সব কটিতে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের দক্ষতা ও জ্ঞান ‘গড় বা মধ্যম’ পর্যায়েরও কম। গবেষণায় দক্ষতার মান নির্ধারণ করা হয়েছে ছয়টি পয়েন্টে—শূন্য (০), খুবই কম (১), কম (২), গড় বা মধ্যম (৩), ভালো (৪) ও খুবই ভালো (৫)।

গবেষণায় বলা হয়েছে, হঠাৎ হৃদরোগের জটিলতা দেখা দিলে অ্যাডভান্সড কার্ডিয়াক লাইফ সাপোর্ট (এসিএলএস), বেসিক লাইফ সাপোর্ট, কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) ও কার্ডিয়াক মনিটরের ব্যবস্থাপনায় শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের দক্ষতা ‘গড় বা মধ্যম’ পর্যায়েরও নিচে। শ্বাসকষ্ট, দুর্ঘটনা, আগুনে পোড়া রোগীদের জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অ্যাডভান্সড ট্রমা লাইফ সাপোর্ট (এটিএলএস), এয়ারওয়ে ব্যবস্থাপনা বা শ্বাসনালিতে বাধা প্রতিরোধ ও উপশম করার কৌশল, লোকাল অ্যানেসথেসিয়া (শরীরের নির্ধারিত কোনো অংশকে অচেতন করা) প্রয়োগ, মুখ বা নাক দিয়ে শ্বাসনালিতে নল দেওয়া বা এন্ডোট্র্যাকিয়াল ইনটিউবেশন, শ্বাসনালির অস্ত্রোপচার বা ট্র্যাকিওস্টমি ও ইন্টারকোস্টালের দক্ষতার কোনোটি মধ্যম পর্যায়ের নিচে, আবার কোনোটির গড় সীমারেখায়।

জরুরি চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রয়োগ ব্যবস্থাপনা, ওষুধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া, ব্যবস্থাপত্র লেখা—এসব ক্ষেত্রে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের দক্ষতা ও অন্য ব্যবস্থাপনাগুলোর দক্ষতার মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়নি। একইভাবে অক্সিজেন ব্যবস্থাপনা, নেবুলাইজেশন ও ব্যান্ডেজের ক্ষেত্রেও তাঁদের দক্ষতা গড়পড়তা।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলোর মানোন্নয়ন না হলে ভালো চিকিৎসক তৈরি করা সম্ভব নয়। এ জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আসনসংখ্যা না বাড়িয়ে শিক্ষার মান বাড়াতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি  বলেন, ‘মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভর্তির আসন বৃদ্ধির চেয়ে মানসম্পন্ন শিক্ষার পরিবেশ বেশি প্রয়োজন। প্রফেসর ও ভালো শিক্ষক দরকার। তাহলে ভালো চিকিৎসক পাওয়া যাবে। বর্তমান সরকার এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে। ’

সূত্র: কালের কণ্ঠ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।