সিলেট: দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এতদিন সিলেট করোনামুক্ত থাকলেও এবার নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন দুইজন।
করোনার নতুন ভাইরাস শনাক্ত হওয়াদের একজন আশি-ঊর্ধ্ব পুরুষ এবং অন্যজন নারী। তাদের করোনার বিশেষায়িত শহীদ ডা. সামসুদ্দিন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে বৃদ্ধের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় তথ্যমতে, আক্রান্তদের একজন নারী এবং অপরজন পুরুষ। আশি-উর্ধ্ব বৃদ্ধ গত শুক্রবার (১৩ জুন) নগরের সুবহানীঘাট ইবনেসিনা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান। পরে তার দেহে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। অপরজন রোববার (১৫ জুন) পরীক্ষায় করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের একজন সুনামগঞ্জের এবং অপরজন সিলেট নগরীর বাসিন্দা।
সিলেট বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, সিলেটে পিসিআর টেস্ট হয় না। সেটি ঢাকাস্থ রোগ তত্ত্ব, রোগ নির্ণয় ও রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগে হয়। আরটিপিসিআর টেস্ট করে রোগ নির্ণয় করা হচ্ছে। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই টেস্ট করা হচ্ছে।
করোনার প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, টেস্টের জন্য বর্তমানে ওসমানী মেডিকেল কলেজ যথেষ্ট। যদি লোড বেড়ে যায়, তাহলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ও সীমান্তিক রয়েছে। সেসব কেন্দ্রেও টেস্ট হবে।
তিনি বলেন, করোনার কিট ও ভ্যাকসিন আগে যেগুলো চীন থেকে আমদানি করা হয়েছিল, সেগুলোর মেয়াদ শেষ। যারা আগে ভ্যাকসিন দিয়েছেন নতুন করে নিতে চাইলে কেবল বোস্টার টিকা নিতে পারবেন। তবে বয়স্ক নারী-পুরুষের বেলায় ঝুঁকি এড়াতে ভ্যাকসিন দিতে পারেন।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট থেকে জনসাধারণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে ডা. মো. আনিসুর রহমান বলেন, সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা, জনাকীর্ণ স্থান এড়িয়ে চলা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং মাস্ক পরা নিশ্চিত করুন। ষাটোর্ধ্বদের জ্বর, সর্দি, কাশি হলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। মূলত সচেতনতাই আমাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
এনইউ/এএটি