ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বাংলাদেশে এই প্রথম বারডেমে চালু হচ্ছে লিভার প্রতিস্থাপন ব্যবস্থা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪১ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১০

ঢাকা : বাংলাদেশে এই প্রথম মানুষের শরীরে যকৃত (লিভার) প্রতিস্থাপন চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে বারডেম হাসপাতাল। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে একজন রোগীর শরীরে যকৃত প্রতিস্থাপনের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন এ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।



আজ মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক একে আজাদ খান জানান, বারডেমে যকৃত (লিভার) প্রতিস্থাপনের যাবতীয় অবকাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে। সব যন্ত্রপাতির সমন্বয় ঘটাতে প্রয়োজন আরো ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা। আগামী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যেই যকৃত প্রতিস্থাপনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে পারবে বারডেম হাসপাতাল।

শিগগিরই বারডেমে বহুমুখি প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনকেন্দ্র (মাল্টি-অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টার ) হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে মুত্রাশয় (কিডনি),  যকৃত (লিভার) ছাড়াও হৃদপিণ্ড, অস্থি-মজ্জাসহ আরো অনেক ধরনের অঙ্গ প্রতিস্থাপন সম্ভব হবে।

হেপাটো-বিলিয়ারি-প্যানক্রিয়াটিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ও প্রধান লিভার প্রতিস্থাপন সার্জন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকায় একজন রোগীর শরীরে যকৃত প্রতিস্থাপন করা যাবে। বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় এ খরচ অনেক কম বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, যকৃত  প্রতিস্থাপনে ভারতে ব্যয় হয় বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক কোটি টাকা।

গত ৩ জুন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে ২৪ জন চিকিৎসকের একটি দল দেশে প্রথমবারের মতো একজন রোগীর দেহে যকৃত প্রতিস্থাপন করে। প্রায় ১৭ ঘণ্টার  অস্ত্রোপচার শেষে রোগী ইরশাদ আহমেদ নিবিড় পরিচর্যায় সুস্থ আছেন। যকৃতের  অংশদাতা রোগীর মামা খালেদ আবদুল্লাহও নিবিড় পরিচর্যা শেষে এখন হাসপাতালের কেবিনে অবস্থান করছেন।

মোহাম্মদ আলী জানান, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থান থেকে বিচ্ছিন্নভাবে যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে এ  অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে ৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা দিয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক। ইরশাদ আহমেদ হিপটোজেনিক লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত ছিলেন।

তিনি বলেন, খালেদ আবদুল্লাহর যকৃতের ডান পাশ থেকে ৭২০ গ্রাম কেটে নিয়ে তার ভাগ্নের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে তিনি বাড়ি ফিরতে পারবেন। আগামী ৬ মাসের মধ্যে তার যকৃত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৬৫৬ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১০
এসএফ/এজে/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।