ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১০ জুন ২০২৫, ১৩ জিলহজ ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

তামাকের মতোই ক্ষতিকর চিনি!

জনি সাহা, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:১৩, জানুয়ারি ১৯, ২০১৪
তামাকের মতোই ক্ষতিকর চিনি!

ঢাকা: চা কিংবা সুস্বাদু কোনো খাবার তৈরির ক্ষেত্রে চিনির জুড়ি নেই। অথচ এই চিনিই কিনা তামাকের মতো ক্ষতিকর!

এমন অবিশ্বাস্য তথ্যই দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ইউনির্ভাসিটি অব লিভারপুলের গবেষক সায়মন ক্যাপওয়েল।

চিনিকে ‘নতুন তামাক’ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

তার এ গবেষণার ফলাফল জানার পর বিশ্বের বিভিন্ন খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যে চিনির পরিমাণ কমিয়ে আনবে বলে আশা করছেন সায়মন।

চিনির ক্ষতিকর দিক নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য একটি ক্যাম্পেইন দলের সদস্য হয়ে কাজ করছেন সায়মন।

চিনির ক্ষতিকারক প্রভাব মানুষের স্থূলতা, বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধির পেছনে দায়ী। এজন্য খাদ্যপণ্যে চিনির পরিমাণ শতকরা ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, জিরো ফ্যাট ইয়োগার্ট (দই) ক্যানে পাঁচ চা-চামচ চিনি রয়েছে। হেইনজ টমেটো স্যুপে রয়েছে চার চা-চামচ চিনি। স্টারবাকস ক্যারামেল ফাপ্পুচিনোতে রয়েছে ১১ চা-চামচ ও মার্স চকলেট বারে রয়েছে আট চা-চামচ চিনি।

একজন পূর্ণবয়স্ক ব্রিটিশ নাগরিক দিনে ১২ চা-চামচ চিনি গ্রহণ করে থাকেন। অনেকে আবার দিনে ৪৬ চা-চামচ চিনিও গ্রহণ করেন।

চিনি আহরণের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানায়, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০ চা-চামচ চিনি গ্রহণ করতে পারেন, এর বেশি নয়।

এ বিষয়ে হু জানায়, বিশ্বব্যাপী স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে মৃত্যুর পেছনে মূল ভূমিকা চিনির।

উলফসন ইন্সটিটিউট অব প্রিভেনটিভ মেডিসিন’র গবেষক গ্রাহাম ম্যাকগ্রেগর বলেন, এখনই বিশ্বব্যাপী চিনির ক্ষতিকর দিক নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

এ বিষয়ে চিকিৎসক অসীম বলেন, চিনি কোনোভাবেই খাদ্যপণ্যের পুষ্টিমান বাড়ায় না, এমনকি ভোক্তাকে পরিতৃপ্তও করে না। স্থূলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চিনি টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগের সংক্রমণে ভূমিকা রাখে।

জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি এ ধরনের খাদ্যপণ্যকে শিশুদের নাগাল থেকে দূরে রাখার বিষয়ে সর্তক করেন অসীম।

এক জরিপে দেখা যায়, স্থূলতা ও ডায়াবেটিস সংক্রান্ত রোগে শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা প্রতিবছর পাঁচশ’ কোটি পাউন্ড ব্যয় করে থাকেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৪
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।