ঢাকা: সারাদেশে ভেজাল, অনিরাপদ, ক্ষতিকর এবং বিষযুক্ত খাদ্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে জনস্বাস্থ্য হুমকি মুখে, সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন।
এ অবস্থার নিরসনে নীতিনির্ধারকদের যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন এবং গণসচেতনতার বিকল্প নেই।
রোববার পবা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষমুক্ত খাদ্য আন্দোলনের মাসব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
পবার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব এবং হেলথ অ্যান্ড হোপের চেয়ারম্যান ডা. লেনিন চৌধুরী, আয়ুর্বেদ অ্যান্ড ন্যাচারোপ্যাথি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ডা. সমীর কুমার সাহা প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে খুচরা বিক্রেতা পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে খাদ্যে বিষ ও ভেজাল মেশানোর প্রক্রিয়া চলতে থাকে। ফলে যে খাদ্য জীবন বাঁচানো ও সুস্থ থাকার জন্য গ্রহণ করা হয় সেই খাদ্যই জীবননাশ এবং অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ’
অনিরাপদ খাদ্যের কারণে বর্তমানে দেশে এক ধরণের “নীরব গণহত্যা” ও অসুস্থতার “নীরব মহামারী” চলছে। বিদ্যমান ভয়াবহ খাদ্য পরিস্থিতির অবসানে সরকারসহ নীতিনির্ধারক মহলকে অধিকতর সক্রিয় এবং উদ্যোগী হতে হবে। একই সঙ্গে জনসাধারণকে সচেতন এবং দাবিমুখর করার কার্যক্রমও গ্রহণ করতে হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশবাদী আন্দোলনের নেতারা দাবি করেন।
এই লক্ষ্যে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এবং ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (ডিএইচইএন) যৌথভাবে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট একটি ‘নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জাতীয় কমিটি’ গঠন করে কার্যক্রম শুরু করেছে। এই কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে প্রফেসর মাহফুজা খানম এবং সদস্য সচিব হিসেবে ডা. লেনিন চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন।
আগামী ১৪ মার্চ ২০১৪ থেকে ১৩ এপ্রিল ২০১৪ এই এক মাস নিরাপদ ও ভেজালমুক্ত খাদ্যের দাবিতে নিবিড় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৪