ঢাকা: ‘মাপলে তবেই বোঝা যাবে, বাড়ছে শিশু সঠিকভাবে’ শীর্ষক শ্লোগানে রোববার যাত্রা করেছে শিশুদের গ্রোথ মনিটরিং এবং প্রমোশন (জিএমপি) কমিউনিকেশন ক্যাম্পেইন।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘জানালা বাংলাদেশ’র উদ্যোগে রাজধানীর মহাখালীর ‘আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ’ (আইসিডিডিআরবি) মিলনায়তনে আয়োজিত ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পের পরিচালক অতিরিক্ত সচিব ডা. মাখদুমা নার্গিস।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুবাস কুমার সাহা, প্রোগ্রাম ম্যানেজার অ্যাডলোসেন্ট অ্যান্ড রিপ্রোডাকটিভ হেলথ, এমসিএইচ, ডিজিএফপি ডা. শিমুল কলি হোসেন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ইউনিসেফ’র চিফ অব নিউট্রিশন নরীন প্রেনডিভিল।
চেয়ারপারসন হিসেবে ক্যাম্পেইনের সারমর্ম তুলে ধরেন আইপিএইচএন অ্যান্ড লাইন ডিরেক্টর, এনএনএস, ডা. মুহাম্মদ হেদায়েতুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে ডা. মাখদুমা নার্গিস বলেন, প্রতিটি শিশুরই সঠিক পুষ্টি নিয়ে বেড়ে ওঠার অধিকার আছে। কিন্তু আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে এ সুযোগ খুব কম। তবে সঠিক মনিটরিং পেলে এবং বাবা-মা সচেতন হলে শিশুকে সঠিক পন্থায় বেড়ে তোলা সম্ভব।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ইউনিসেফ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের এ উদ্যোগ সফল হবে এবং শিশুদের সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে সহযোগিতা করবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় পুষ্টি, সেবা বিভাগ ও ইউনিসেফের যৌথ তত্ত্বাবধানে এ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হচ্ছে।
পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের অভিভাবকরা ক্যাম্পেইনের উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠী।
ঢাকা মহানগরীর ছয় শতাধিক ফার্মেসি, তিন শতাধিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রসহ অনেক প্রতিষ্ঠানকে ক্যাম্পেইন‘র আওতায় এনে নানাধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
শিশুর ওজন ও উচ্চতা সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য দরকার সঠিক পুষ্টি। এ বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিই এই ক্যাম্পেইনের মূল লক্ষ্য।
ক্যাম্পেইনে পথনাটকসহ কমিউনিটিভিত্তিক বিভিন্ন যোগাযোগ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সংবাদপত্র, এফএম রেডিও ও সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম পুষ্টি ও জিএমপি বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির কাজে ব্যবহার করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৪