ঢাকা: বর্তমানে দেশের এক তৃতীয়াংশ লোক কোনো না কোনো ধরনের শ্রুতিক্ষীণতায় ভুগছেন। বর্তমানে দেশে শ্রুতি প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ৯ দশমিক ৬ শতাংশ এবং বধিরতার হার ১ দশমিক ২ শতাংশ।
মঙ্গলবার দুপরে সোনারগাঁও হোটেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)’র নাক-কান ও গলা বিভাগের উদ্যোগে পরিচালিত বাংলাদেশে বধিরতার হার নিরূপনে জাতীয় জরিপে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
শ্রুতিক্ষীণতার কারণ হিসাবে কানে খৈল, মধ্যকর্ণে পানি, কান পাকা রোগ, কানের ইনফেকশন’কে দায়ী করা হয়।
জরিপে বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে জন্মগত বধিরতা ছাড়া বাকী ৫০ ভাগ বধিরতাই নিয়ন্ত্রণযোগ্য এবং চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করা সম্ভব। দ্রুত রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা এবং জনসচেতনতার মাধ্যমেই ৫০ ভাগ বধির ও শ্রুতিক্ষীণ লোককে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহায়তায় পরিচালিত এ জরিপ কার্যক্রম ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত দেশের ৭টি বিভাগের ৫২টি উপজেলায় পরিচালনা করা হয়। এই জরিপ কার্যক্রমে মাঠ পর্যায়ে ৪২২০ জন লোক অংশগ্রহণ করে যাদের আর্থ সামাজিক অবস্থা, ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা এবং কানের শুনানি পরীক্ষা করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. খালেদ হাসান, বিএসএমএমইউ’র উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার, নাক-কান-গলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল হাসনাত জোয়ারদার। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসএমএমইউ’র নাক-কান-গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার।
অনুষ্ঠানে বক্তারা চিকিৎসা বিজ্ঞানকে এগিয়ে নিতে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের অবস্থানে পৌঁছে নিতে গবেষণার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিশ্বে বধিরতার সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বের ১৫ ভাগ মানুষ কোনো না কোনো পর্যায়ের শ্রুতিক্ষীণতায় ভুগছেন এবং যার অধিকাংশই শিশু। বিশ্বের ৫ ভাগ লোক বধিরতায় ভুগছেন যা কি না তাদের নিত্যদিনের কার্যক্রম জীবন-জীবিকার উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘন্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৪