ঢাকা: কুষ্টিয়া ও মানিকগঞ্জে তরমুজে ক্ষতিকারক উপাদান মেশানো হয়নি বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মাহমুদুর রহমান জানিয়েছেন, ন্যাশনাল ফুড টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে তরমুজে কোন ক্ষতিকর উপাদানের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
মাহমুদুর রহমান বলেন, গত ১৯ এপ্রিল কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এ ঘটনা ঘটে। একটি তরমুজ খেয়ে ৩০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, যে লোক তরমুজটি কেনেন, তিনি নরসিংদী থেকে ২৫০ টাকা দিয়ে তরমুজ কিনে কুষ্টিয়ায় বাড়িতে নেন। সেই রাতে তরমুজটি কাটা হয়নি। পরের দিন কাটা হয়েছে।
অসুস্থ ব্যক্তিরা বলেছেন, প্রথমে তাদের পেটে ব্যথা হয়। এরপরে ডায়রিয়া, বমি ও পানিশূন্যতা তৈরি হয়।
আইইডিসিআর’এর গবেষক দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তরমুজের ফেলে থাকা কিছু অংশ পান। যারা খেয়েছে তারা বলেন, খাওয়ার সময় তাদের কাছে পচা মনে হচ্ছিল। এরপর ২০ এপ্রিল ৩০ জনই হাসপাতালের শরনাপন্ন হন। সেখান থেকে চিকিৎসকরা ৬ জনকে বাড়ি ফিরিয়ে দেন, ২৪ জনকে ভর্তি করান।
মাহমুদুর রহমান বলেন, তরমুজে কোন ক্ষতিকর উপাদান ছিল না। মূলত ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তরমুজ খাওয়া ব্যক্তিরা। এছাড়াও এক ব্যক্তির শরীরে স্যালমনেলার উপস্থিতি পাওয়া যায়।
মাহমুদুর রহমান জানান, নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তরমুজে ক্ষতিকারক কেমিক্যালের কোনো অস্তিত্ব তারা পাননি।
এছাড়াও ২২ এপ্রিল একইভাবে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ১১ জন একটি তরমুজ খেলে, তাদের মধ্যে ৯ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখানেও কোন ধরনের বিষাক্ত উপাদান মেশানো হয়নি বলে জানান তিনি।
গবেষণা দলের সদস্যরা মনে করছেন, বাসে বা কোথাও তরমুজটি ফেলার কারণে বা ফাটল থাকলে সেখানে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে থাকতে পারে।
তরমুজ কাটার আগে ভালভাবে ধুয়ে নিতে অনুরোধ করেছেন মাহমুদুর রহমান। এছাড়াও ফাটা এবং পচা তরমুজ না খেতে পরামর্শ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১৪