ঢাকা: মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যে দৃশ্যমান সাফল্য এলেও সে তুলনায় অপুষ্টির হার কমছে না। বাংলাদেশে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই অপুষ্টিতে ভুগছে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান স্প্রেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ‘গ্লোবাল উইক অ্যাকশন এবং স্বাস্থ্য বাজেট বিশ্লেষণ প্রতিবেদন শেয়ার’ শীর্ষক কর্মশালার শুরুতে মূল প্রবন্ধে একথা বলা হয়।
প্রবন্ধটি পাঠ করেন- সংগঠনের অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর চন্দন গোমেজ।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বপালনকারী এইচ টি ইমাম।
মূল প্রবন্ধে চন্দন গোমেজ গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, ১৯৯০ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার দুই তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
১৯৯০ সালে প্রতি হাজারে শিশু মৃত্যুহার ছিল ১৩৯। ২০১১ সালে হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬-এ। কিন্তু দেশের বিশেষত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য এখনো বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে।
২০১২ সালের গ্লোবাল হাঙ্গার সূচকে ৭৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৬৮ তে। বাংলাদেশের নবজাতকের রোগে শতকরা ৫৯ ভাগ শিশু মারা যাচ্ছে। আর প্রসবজনিত মাতৃ মৃত্যুহার এ অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
শিশু মৃত্যু কারণগুলোর মধ্যে- নবজাতকের রোগে ৫৯ ভাগ, নিউমোনিয়া ১৪ এবং ডায়রিয়ায় ৬ ভাগ। শতকরা ২২ ভাগ নবজাতকই কম ওজন নিয়ে জন্মাচ্ছে। যা মায়ের পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবকেই নির্দেশ করে।
প্রবন্ধের শেষ ভাগে সরকারের কাছে ওয়ার্ল্ড ভিশনের পক্ষ থেকে কয়েকটি আহ্বান জানানো হয়।
এর মধ্যে রয়েছে- মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য খাতে সরকারি বরাদ্দ বাড়ানো, স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে শিশুবান্ধব সেবা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যখাতে দক্ষ কর্মী বাড়ানো, গ্রাম অঞ্চলে সেবার পরিধি প্রসারিত এবং যুগোপযোগী জাতীয় পুষ্টি নীতি তৈরিসহ শিশুদের মায়ের দুধ খাওয়ানোর ব্যাপারে আরো উৎসাহিত করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৪