সিলেট: সরকারের আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রসবকালীন মায়েদের মৃত্যুর হার অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা পেলে মৃত্যুর হার আরও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন নিরাপদ মাতৃত্ব বিষয়ক সেমিনারের বক্তারা।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার কক্ষে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে ‘অবস্টেট্রিকাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ’ আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সহযোগিতায় সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী।
ডা. নাসরিন আক্তারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. মিজানুর রহমান।
সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, দেশে এখনও শতকরা ৭৬ জন মায়ের প্রসব বাড়িতে করানো হয়। যেখানে দক্ষ দাই ব্যতীত নোংরা পরিবেশে অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে প্রসব করানো হয়। এদের একটি বিশাল অংশ অত্যন্ত সংকটময় মুহূর্তে মায়েদের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। তখন চিকিৎসকদের আর কোনো কিছু করার থাকে না। ব্যবস্থাপত্র নেওয়ার আগেই হয়ত প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়।
এ ধরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক সময় চিকিৎসক ও অভিভাবকদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। তবে আশার কথা হচ্ছে, এত কিছুর পরও সারাদেশের চিকিৎসক সমাজ অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও দেশে নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে পেরেছেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিএমএ’র সভাপতি ডা. রুকন উদ্দিন আহমদ, প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুস সবুর, প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মিসেস ফরহাত মহল, ইউমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. রাশিদা আক্তার, সহযোগী অধ্যাপক ডা. দিলিপ কুমার ভৌমিক ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সিনিয়র সহকারী ম্যানেজার ডা. জুবায়ের আহমদ।
সভায় বক্তারা মাতৃত্বের হার ১৯৪ থেকে নামিয়ে ২০১৫ সালের মধ্যে ১৪৩-এ আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৪