ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ডব্লিউএইচও’তে অটিজম কর্মসূচি প্রণয়ন বাধ্যতামূলক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০১৪
ডব্লিউএইচও’তে অটিজম কর্মসূচি প্রণয়ন বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম

ঢাকা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অধিবেশনে অটিজম বিষয়ে রেজুলেশন পাসকে বিরাট কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

এর ফলে অটিজম কেন্দ্রিক জনস্বাস্থ্য কর্মসূচি প্রণয়ন করা ডব্লিউএইচও’র জন্য বাধ্যতামূলক হয়েছে।



সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ১৯-২৪ মে ডব্লিউএইচও’র ৬৭তম সম্মেলনে অংশ নিয়ে বুধবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

ওই সম্মেলনে বাংলাদেশের ‘কমপ্রিহেনসিভ অ্যান্ড কো-অর্ডিনেটেড এফোর্টস ফর দ্য ম্যানেজমেন্ট অব অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার’ শীর্ষক প্রস্তাবনা পাস হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সংবাদ সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনেই ডব্লিউএইচও’র ৫৪ সদস্যের কার্যনির্বাহী বোর্ডের সভায় বিশ্বের লাখ লাখ শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে অটিজম প্রস্তাবনা রেজুলেশন গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি রাষ্ট্রের পক্ষে বাংলাদেশ আলোচনার সূত্রপাত করলে তাতে সমর্থন দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২৭টি সদস্য। চীন, তাইপে রেজুলেশন সমর্থন করে বিবৃতি দেয় বলে জানান মন্ত্রী।

‘এখন থেকে অটিজম সংক্রান্ত বিষয়টি স্থায়ীভাবে ডব্লিউএইচও’র কার্যকর রেজুলেশনে পরিণত হলো। বিশ্বের স্বল্পোন্নত সীমিত সম্পদের দেশগুলোতে অটিজম রোগ প্রতিরোধে কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি অটিজম কেন্দ্রিক সব ধরনের জনস্বাস্থ্য কর্মসূচি প্রণয়ন করা ডব্লিউএইচও’র জন্য বাধ্যতামূলক। ’

সংস্থাটির বহু সদস্য রাষ্ট্র পৃথক বিবৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চ্যালেঞ্জটিকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে আনার জন্য বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন, বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী আরও জানান, এই রেজুলেশনের মাধ্যমে ডব্লিউএইচও অটিজমকে অন্যতম একটি স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সংস্থাটির সমন্বিত মানসিক স্বাস্থ্য কর্মপরিকল্পনাতে আবশ্যকীয় বিষয়ে অন্তর্ভূক্ত হলো। সদস্য রাষ্ট্রগুলো নিজস্ব পরিকল্পনায় অটিজমের চিকিৎসা, গবেষণা, পুর্নবাসন কাজ
করবে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এইচআইভি/এইডস, টিবি এবং ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধ ও নির্মূলে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে গ্লোবাল ফান্ড।

নাসিম দাবি করে বলেন, পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশে কম খরচে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। ধনীদেশগুলো উচ্চমূল্যে স্বাস্থ্য সেবা দেয়।

বাংলাদেশে হেলথ ক্লিনিকগুলোতে প্রায় বিনা পয়সায় স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়, জটিল রোগ ছাড়া সরকারি হাসপাতালগুলোতেও স্বাস্থ্যসেবা প্রায় ফ্রি।

দরিদ্রদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য ‘হেলথ কার্ড’ কবে নাগাদ দেওয়া শুরু হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, টাঙ্গাইলে তিনটি স্থানে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে, আগামীতে আরও এলাকায় শুরু করা হবে।

হাসপাতালগুলোতে অপ্রয়োজনে যন্ত্রপাতি কেনায় একটি কমিটির প্রতিবেদন পেয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অ্যাকশন শুরু হয়েছে।

জেনেভা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী তনয়া সায়মা ওয়াজেদও উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য সংস্থার আঞ্চলিক সম্মেলনে উপস্থিত থাকার ইচ্ছা পোষণ করেন, জানান মন্ত্রী।

এসময় সচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিনসহ কর্তমর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।