ঢাকা: আমরা যা-ই খাই তা-ই প্রভাব ফেলে আমাদের শরীর, শারীরিক প্রক্রিয়া ও মানসিক সক্ষমতায়। অর্থাৎ খাবার কেবল শরীরে পুষ্টি সরবরাহের কাজই করে না খাবার, দেহের আভ্যন্তরীন ঘড়ির (ইন্টারনাল ক্লক- মানবদেহের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া ঘটিয়ে থাকে যে ঘড়িগুলো, যেমন ঘুম থেকে নির্দিষ্ট সময়ে ওঠা ঘড়িটির নাম সার্কেডিয়ান ক্লক) সঠিক কার্যকারিতায়ও ভূমিকা রাখে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেল প্রেস জার্নালে প্রকাশিত জাপানের জাপানের ইয়ামাগুচি ইউনিভার্সিটি পরিচালিত গবেষকণা প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
গবেষকরা বলেন, খাবার গ্রহণে ভারসাম্য না থাকলে প্রায়ই দৈহিক ঘড়িতে প্রভাব পড়ে, যার কারণে ঘুমে ব্যাঘাতসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগতে হয়।
এছাড়া, মানুষের আভ্যন্তরীণ জৈব ঘড়ি শরীরের আচরণ ও জৈবপ্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে বলেও জানান গবেষকরা।
গবেষকরা মনে করেন, খাবারে ভারসাম্য ভোক্তার শরীরের যে কোনো জটিলতা কাটাতে ঘড়িগুলোকে সমানতালে কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগিতা করে। যেমন ঘুম থেকে নির্দিষ্ট সময়ে ওঠা ঘড়িটির নাম সার্কেডিয়ান ক্লক। এই ঘড়িটি শারীরিক প্রক্রিয়ায় সতর্কতা সংকেত দিয়ে থাকে, শরীরের জিনগুলোর কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনায় সহযোগিতা করে।
গবেষকরা জানান, সার্কেডিয়ান ক্লক দু’টি প্রধান কাজে ব্যস্ত থাকে। প্রথমত, এটি আলো পড়লেই জেগে ওঠে, অর্থাৎ মানুষকে সঠিক সময়ে জাগিয়ে দেয় এবং দ্বিতীয়টি খাবারের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে, এক্ষেত্রে অবশ্য কম কাজ করে ঘড়িটি।
মানবদেহের কোষ ও ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা দেখেছেন, সার্কেডিয়ান ক্লক পুনর্স্থাপনে কাজ করে ইনস্যুলিন।
গবেষণা দলের প্রধান ও ইয়ামাগুচি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মাকোতো আকাশি বলেন, শারীরিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে পারিপার্শ্বিক তালের দীর্ঘস্থায়ী অসংগতি কেবল শারীরিক কার্যক্ষমতাই কমিয়ে ফেলে না, নানারকম শারীরিক জটিলতাও বাড়িয়ে দেয়। এর মধ্যে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ঘুমে ব্যাঘাত এবং ক্যান্সারের মতো রোগও বাসা বুনতে পারে।
তিনি সচেতনদের উদ্দেশে বলেন, অতএব, যা-ই খান, ভারসাম্য রাখুন!
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৪