ঢাকা: চিকিৎসকের নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেকে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে ভরসা করেন ই-সিগারেট। যদিও এই সিগারেট কতখানি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী সে ব্যাপারে বিতর্ক রয়েছে বিস্তর।
তবে সিগারেটের কুফল তাৎক্ষণিকভাবে দৃষ্টিগোচর না হলেও, ই-সিগারেটের কারণে ঘটতে পারে আকস্মিক প্রাণহানির মত ঘটনা।
যুক্তরাজ্যের মারসেসাইড এলাকায় ই-সিগারেট বিস্ফোরিত হয়ে মারা গেছেন ডেভিড থমসন নামের এক ব্যক্তি। বাড়িতে বসে চার্জ করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরিত হয় সিগারেটটি। এ সময় আগুন ধরে যায় তার অক্সিজেন সরবরাহকারী সরঞ্জামে। ফলাফল তাৎক্ষণিক মৃত্যু।
গত জানুয়ারি থেকে একই এলাকায় ই-সিগারেট চার্জের সময় দুর্ঘটনা সংক্রান্ত অগ্নিকাণ্ডের নয়টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস। এ অবস্থায় ই-সিগারেট ব্যবহারে সতর্ক থাকতে বলেছে বিশেষজ্ঞরা।
তরল নিকোটিনকে বাষ্পাকারে নিঃশ্বাসের মাঝে প্রবাহিত করে ই-সিগারেট। বাজারে থাকা বিভিন্ন মডেলের ই-সিগারেটগুলোর রয়েছে আলাদা আলাদা চার্জার। আর এই চার্জার থেকে বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানিয়েছেন অগ্নিকাণ্ড বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, ভুল চার্জার ব্যবহার অথবা রিচার্জেবল ব্যাটারিকে ই-সিগারেটে সংযুক্ত করা স্ক্রুকে বেশি টাইট দেয়া হলে এতে কারিগরি ক্রুটি দেখা দিতে পারে।
এছাড়া অতিরিক্ত চার্জ দেয়ার কারণেও ই-সিগারেটে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। অনেক ই-সিগারেট চার্জারের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে এর কয়েলকে অতিরিক্ত গরম হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার মত প্রতিরোধক নেই। ফলে অতিরিক্ত চার্জিংয়ে বিস্ফোরিত হতে পারে ব্যাটারি।
এ সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে সঠিক চার্জার ব্যবহার এবং নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের দেয়া নির্দেশনা মেনে চার্জ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৪