রাজশাহী: বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের অধীন রাজশাহীর ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেসের গামা ক্যামেরাটি প্রায় একমাস আগে নষ্ট হয়ে গেছে। ওই ক্যামেরার সাহায্যে কিডনি, থাইরয়েড গ্রন্থি ও অস্থির স্পর্শকাতর পরীক্ষাগুলো করা হয়।
ওই পরীক্ষাগুলো পরমাণু শক্তি কমিশন ছাড়া রাজশাহী বা দেশের আর কোথাও করা সম্ভব নয়। তবে ঢাকার হাতেগোণা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ওই পরীক্ষাগুলো করে থাকে মোটা অংকের ফি নিয়ে। কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্যামেরাটি ঠিক হতে আরও তিন থেকে চার মাস লাগতে পারে। ফলে সেবা নিতে আসা রোগীরা পড়েছেন বিপাকে। সেবা প্রত্যাশী রোগীরা প্রতিদিনই সেখানে গিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন রাজশাহী সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে সিমেন্স ই-ক্যাম সিরিজের গামা ক্যামেরাটি রাজশাহীর পরমাণু শক্তি কমিশনে স্থাপন করা হয়। ওই ক্যামেরার মাধ্যমে গামারশ্মি দিয়ে কিডনির কার্যক্ষমতা, অবস্থান ও প্রকৃতি নির্ণয়; থাইরয়েড গ্রন্থির অবস্থান, টিউমার ও গ্রন্থির কার্যকারিতা নির্ণয়, অস্থির বিভিন্ন ধরনের টিউমার ও অন্য অঙ্গের টিউমার থেকে অস্থিতে ক্যান্সার ছড়ানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর পরীক্ষাগুলো করা হয়। কিন্তু বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহী পরমাণু শক্তি কমিশনে পরীক্ষা করার জন্য ৩৫০ থেকে ৯০০ টাকা নেওয়া হয়। সেখানে ঢাকার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ২ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়।
রোগাক্রান্ত গরীব মানুষ স্বল্প মূল্যে পরমাণু শক্তি কমিশন থেকে ওই পরীক্ষাগুলো করিয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে পারতেন। কিন্তু সেখানে এখন সপ্তাহে গড়ে ৪০ জন রোগী রোগ নির্ণয়ের জন্য এসে ফিরে যাচ্ছেন। এতে রাজশাহীর ক্যান্সার আক্রান্ত সাধারণ রোগীরা পড়েছেন বিপাকে।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের রাজশাহীর পরিচালক ডা. কবিরুজ্জামান শাহ জানান, গামা মেশিনটি নষ্টের খবর ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জানানো হয়েছে। সিমেন্স কোম্পানির প্রকৌশলী গিয়ে মেশিনটি পরিদর্শনও করে গেছেন। আরও ৩-৪ মাস সময় লাগতে পারে মেশিনটি ঠিক হতে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৪