রংপুর: কর্তৃপক্ষের শুদ্ধি অভিযানে দালাল ও বহিরাগত মুক্ত হয়েছে গেছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ড পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকায় চিকিৎসাধী রোগী ও স্বজনরা বেশ খুশি।
এদিকে, দালাল ও বহিরাগতরা সুবিধা করতে না পেরে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা।
বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের কর্মকর্তাদের নির্দেশে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে শুদ্ধি অভিযান চলছে।
হাসপাতালের প্রবেশ দ্বারগুলোতে লাঠি হাতে পাহারা দিচ্ছে কর্মচারীরা।
গুরুত্বপূর্ণস্থানে দেওয়ালে সাঁটানো হয়েছে ‘দালাল মুক্ত হাসপাতাল, দালালদের ধরিয়ে দিন, বহিরাগতদের উচ্ছেদ কর’ লেখা পোস্টার।
মেডিসিন, নিউরো মেডিসিন, নিউরো সার্জারি, ফিজিক্যাল মিডিসিন, অর্থোপেডিক্স, অর্থোসার্জারি, শিশু বিভাগ, গাইনি, শিশু সার্জারি, বার্ন ইউনিট কার্ডিওলজি, পোষ্ট অপারেটিভ, আইসিইউ, সিসিইউ, গ্যাষ্টোলজি কিডনি ডায়োলাইসিসহ ৪২টি ওয়ার্ড এখন ঝকঝকা রয়েছে।
রোগী ও লাশবাহী মাইক্রোবাস মালিকদের দাপটও বন্ধ হয়েছে সেখানে।
আগে দালালরা প্রলোভন দেখিয়ে রোগীদের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতো। বিনিময়ে তারা বড় ধরনের কমিশন পেত বেসরকারি হাসপাতালগুলোর কাছ থেকে।
এছাড়া হাসপাতালের ওষুধসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম খোয়া যাওয়া ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। যা এখন বন্ধ হয়েছে।
হাসপাতালের কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি শাহীনুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বকুল বলেন, শুদ্ধি অভিযানে হাসপাতাল থেকে ৯০ ভাগ দালাল ও বহিরাগত মুক্ত করা গেছে। এজন্য হাসপাতালের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা সচেষ্ট রয়েছে। শুদ্ধি অভিযানের কারণে তাদের দালাল ও বহিরাগতরা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এজন্য তারা নিরাপত্তা চেয়ে কোতয়ালী থানায় আলাদাভাবে সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, হাসপাতালকে ঠিক রাখতে গেলে শুদ্ধি অভিযানের বিকল্প নেই। শুদ্ধি অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৪