সিলেট: সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে মায়ের এইচআইভি ও সিফিলিস রোগ থেকে শিশুকে রক্ষা করা সম্ভব বলে অভিমত চিকিৎসকদের। আর এ লক্ষ্য নিয়েই পিএমটিসিটি প্রকল্প কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (সিওমেক) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. আব্দুস ছবুর মিয়া।
মঙ্গলবার দুপুরে ওসমানী হ্সাপাতাল মিলনায়তনে পিএমটিসিটি প্রকল্পের ‘ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা’য় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, সিওমেক এ অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, সহযোগী সংস্থারগুলো নতুন নতুন বিশেষায়িত সেবা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠার মাধ্যমেই পিএমটিসিটি প্রকল্পের সুফল বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে।
আর এ কার্যক্রম সফল হলে মায়ের এইচআইভি ও সিফলিস রোগ থেকে শিশুকে রক্ষা অনেকাংশে সম্ভব হবে, পাশাপাশি মা ও শিশু মৃত্যুরোধে কার্যকর ভূমিকাও রাখবে।
সভার শুরুতেই প্রকল্পের কোয়ার্টারের অগ্রগতি প্রতিবেদন তুলে ধরেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মোতাহের হোসেন।
সভায় অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. মনোজ্জির আলী, গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কল্লোল বিজয় কর ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. দিলিপ কুমার ভৌমিক।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকরা।
সভায় সিলেটের বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ডায়েবেটিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের আগস্ট মাস থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়। এর আওতায় এইচআইভি আক্রান্ত গর্ভবতী নারীদের কাছ থেকে শিশুর শরীরে এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের ধারাবাহিকতায় ৭ জন এইচআইভি আক্রান্ত নারীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর মধ্যে দুজন নারী সন্তান প্রসব করেছেন। বাকী পাঁচজন সন্তান জন্মদানের অপেক্ষায়।
নবজাতকদের বিভিন্ন চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী পরীক্ষায় নবজাতকদের শরীরে এইচআইভি সংক্রমণ পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৪