ঢাকা: এ দেশের স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য নেতৃবৃন্দ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের ৩২তম সম্মেলনে যোগ দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য নেতৃবৃন্দ এ কথা জানান।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের বল রুমে সম্মেলন শেষে এক আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পূণম ক্ষেত্র পাল সিং সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইতিহাসে এমন কোনো দিন হয়নি যে একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী তিন বার এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন। আমরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ আন্তরিকতায় মুগ্ধ।
তিনি বলেন, এ সম্মেলনে সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট নেতারা উপস্থিত হয়েছিলেন। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ আন্তরিকতায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।
৯ সেপ্টেম্বর সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়াও দু’টি সাইড ইভেন্টে অংশ নেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম বিষয়ে বিশেষ অবদানের জন্য ডব্লিউএইচও পুরষ্কার অর্জনের দিনও প্রধানমন্ত্রী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ১১ সেপ্টেম্বর অটিজম বিষয়ে সাইড ইভেন্টেও যোগ দেন শেখ হাসিনা।
এ বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করে ডব্লিউএইচও'র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পূণম ক্ষেত্র পাল সিং বলেন, আমার ১৫ বছরের কর্ম জীবনে স্বাস্থ্যখাত নিয়ে কাজ করতে গিয়ে কোনো দিন দেখেনি যে, একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী এতোটা আন্তরিকতা দেখাতে পারেন। তিনি পর পর ৩ বার উপস্থিত হয়েছেন; যা সত্যিই মুগ্ধতার।
এ সময় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের প্রশংসা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং সেই সঙ্গে বিশ্ব ও আঞ্চলিক স্বাস্থ্যের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। আর তাই তো ওই অনুষ্ঠানগুলোতে তিন বার যোগ দিয়েছেন তিনি। ঠিক তেমনি কাজের ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার রয়েছে।
** টিকায় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশ অনুসরণীয়
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৪