সিলেট: সিলেটে ইমামদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছে জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব)। মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর বালুচর ইসলামী ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় সিলেট বক্ষব্যাধী হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডাক্তার শাহ আলাম জানান, বিশ্বের মধ্যে ভারতে সব চেয়ে বেশি যক্ষ্মা রোগী রয়েছে। বাংলাদেশ রয়েছে ৬ষ্ঠ স্থানে। ভারতে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় বাংলাদেশেও যক্ষারোগীর সংখ্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে সিলেটেসহ সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষ। সীমান্ত এলাকাগুলোতে প্রতিনিয়ত যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, যক্ষা রোগ হওয়ার কারণ সম্পর্কে জনসচেতনতায় ইমামরাই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারেন। প্রতি শুক্রবার মসজিদে জুমার নামাজের পূর্বে যক্ষ্মা রোগ নিয়ে আলোচনা করলে মানুষ সচেতন হবে।
ডা. শাহ আলম বলেন, এক জন যক্ষ্মা রোগী মানুষের সঙ্গে চলাফেরা করলে বছরে অন্তত ১০/১৫ জন ভালো মানুষও যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হবে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৩ সালে বিশ্বে ৩ কোটি লোক এ রোগে আক্রন্ত হয়। আর মারা যায় ১৪ লাখ লোক।
গড়ে ১ লাখ লোকের মধ্যে ৪শ’ ২৫ জন যক্ষ্মা রোগী রয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন,বছরে ২শ’ ২৫ জন নতুন করে যক্ষারোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাছাড়া যক্ষ্মা রোগ নির্মূল করা সম্ভব নয়। শুধু মাত্র সচেতনা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
ইসলামী ফাউন্ডেশনের সিলেটর উপ-পরিচালক ফরিদ আহমদের সভাপতিত্বে ও নাটাবের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার সুমন কুমার চৌধুরীর পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর সিলেট জেলা শাখার কোষাধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন চৌধুরী। সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়া করেন মাওলানা মামুনুর রশিদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর, ১৬, ২০১৪