ঢাকা: সারাবিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ৪০ কোটি। আমাদের দেশে সোয়া এক কোটি।
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসের প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এন্ডোক্রাইনোলজি (ডায়াবেটিস ও হরমোন) মেডিসিন বিভাগ এ তথ্য প্রকাশ করে।
১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। তার আগেই বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ডায়াবেটিস সচেতনতা বিষয়ে একটি পদযাত্রা করেছে বিএসএমএমইউ’র এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ।
বিভাগটির অধীনে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডায়াবেটিস ক্যাম্পের মাধ্যমে সংগ্রহ করা তথ্যে এ চিত্র ফুটে উঠেছে।
তবে দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সঠিক পরিসংখ্যান আরও বেশি বলে মনে করেন বিএসএমএমইউ এন্ডোক্রাইনোলজি মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. এম এ হাসনাত।
বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে মেডিকেল ক্যাম্প করে বিএসএমএমই’র এন্ডোক্রাইনোলজি মেডিসিন বিভাগ রোগীর সংখ্যা প্রায় সোয়া কোটি নির্ধারণ করেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হবে।
এই ডায়াবেটিস চিকিৎসক মনে করেন, আশির দশকের পর যে হারে (মাত্র ২ শতাংশ) ডায়বেটিস রোগী বেড়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ২০৩০ সালে এ সংখ্যা আড়াই কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এখনও সুযোগ আছে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের চেয়ে প্রতিরোধের দিকে নজর দিতে হবে। এজন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার। তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠান ও এনজিও এ কাজটি করতে পারে।
ডা. হাসনাত জানান, এখন পর্যন্ত দেশে ডায়বেটিস চিকিৎসার জন্য সবেচেয় ভালো ব্যবস্থা বারডেমে রয়েছে। তবুও দেশে ডায়বেটিস্ট বাড়ানো দরকার, দক্ষ প্রশিক্ষকেরও দরকার আছে।
ডায়াবেটিস নিয়ে গবেষণা করছে বিএসএমএমই’র এন্ডোক্রাইনোলজি মেডিসিন বিভাগ। এই বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. মো ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘দেশে আশির দশকে জায়াবেটিস প্রবণতা ছিলো দুই শতাংশ। এখন শুধু ঢাকা শহরে এটা ১০ শতাংশ। এছাড়া গ্রামাঞ্চলেও এ প্রবণতা ১০ শতাংশ। প্রিডায়াবেটিস (ডায়বেটিসের আগের ধাপ) আরও ১০ শতাংশ।
তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এন্ডোক্রাইনোলজি মেডিসিন বিভাগের আউটডোর ও ইনডোরে প্রতিদিন যে দুই শতাধিক রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয় তার প্রায় ৩০ শতাংশই ডায়াবেটিস।
খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে ৫০ শতাংশ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ সম্ভব-বলে জানান বিএসএমএমই’র এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো ফরিদ উদ্দিন।
তিনি আরো বলেন, ‘ডায়াবেটিস এমন এক ধরনের রোগ যার ফলে দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্যক্ষমতা হ্রাস পেয়ে হার্টঅ্যাটাক, কিডনি ফেইলর, অন্ধ হয়ে যাওয়া, পায়ে পচন, এমনকি পা পর্যন্ত কেটে ফেলা লাগতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৪