ঢাকা: সংবাদের শিরোনাম অনেকটা সায়েন্স ফিকশনধর্মী চলচ্চিত্রের মতো হলেও বয়স ধরে রাখার ওষুধ এখন বাস্তবতা। রাশিয়ার একজন বিজ্ঞানী নতুন এই ফর্মুলা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন।
মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির ডা. ম্যাক্সিম স্কুলাচিভ নামে ওই গবেষকের দাবি, তিনি এমন ওষুধ আবিষ্কার করেছেন যা সেবনে বয়সের ছাপ দেরিতে ধরা পড়বে।
তিনি আরও দাবি করেন, ইতোমধ্যেই ইঁদুর, মাছ ও কুকুরের ওপর প্রয়োগ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এই ওষুধ মানুষকে কমপক্ষে ১২০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখবে।
ডা. ম্যাক্সিম স্কুলাচিভ বলেন, যেসব অসুখ বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেখা দেয়, উদ্ভাবিত ওষুধটি সেবন করলে সেসব অসুখ অনেক দেরিতে আক্রমণে বাধ্য হবে।
তিনি জানান, ওষুধটিতে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। ওষুধটি কোষের পাওয়ার হাউজ নামে পরিচিতি মাইটোকন্ড্রিয়াকে সতেজ রাখবে। ফলে বয়সের ছাপ লুকিয়ে থাকবে। তাছাড়া, মাইটোকন্ড্রিয়াকে সতেজ করলে কমে যাবে হৃদরোগের ঝুঁকিও।
প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়, পূর্ব আফ্রিকার নেকেড মোল প্রজাতির ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে ওষুধটি আয়ু বাড়ানোর ক্ষেত্রে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই কার্যকর।
মানুষের বয়স বৃদ্ধি ও তা ধরে রাখার উপায় বের করতেই এই গবেষণাটি চালানো হয়।
এ গবেষণা এখনই আয়ু বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন না করলেও বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করবে। এটা নিয়ে আরও গবেষণার কাজ বাকি রয়েছে এবং একটা সময় পূর্ণ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে বলে মনে করেন ডা. ম্যাক্সিম।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৪