ঢাকা: দেশব্যাপী জেঁকে বসেছে শীত। এই শীতে জ্বর, ঠান্ডা, সংক্রামক থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগে ভুগছে মানুষ।
শীতে সুস্থ থাকতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবার গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। সেই খাবারের তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলানিউজ।
গাজর: সূপ, ভাপে সিদ্ধ খাদ্য এবং পিসোট্টোর মতো চমৎকার খাবার তৈরিতে বিটা-পিঙ্গল পদার্থসমৃদ্ধ গাজর খুবই কার্যকরী। ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ এ গাজর ঠান্ডা ও সংক্রামক রোগপ্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া শীতকালে খুব কমন কিছু সংক্রামক রোগ থেকেও রক্ষা করে গাজর।
সবুজ ও ক্যামোমিল চা: সবুজ চা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ পানীয়। এতে শক্তিশালী সংক্রামক রোগপ্রতিরোধক, ব্যাকটেরিয়ানাশক বৈশিষ্ট্য আছে। তাই প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ কাপ চা পান করলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
এছাড়া ক্যামোমিল চা-কেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ পানীয় বলা হয়। আর সুবজ চায়ের মতো এটাও শীতকালে ঠান্ডা ও সংক্রামক রোগপ্রতিরোধে কাজ করে।
মাশরুম: রোগপ্রতিরোধে সহায়তাকারী হিসেবে সুপরিচিত মাশরুম। এটাও শীতকালে ঠান্ডা ও ভাইরাসজনিত অসুস্থতা থেকে ব্যক্তিকে রক্ষা করে। এছাড়া সাদা মাশরুমে রোগপ্রতিরোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে।
রসুন: জ্বর ও ঠান্ডা থেকে সুস্থ হতে প্রাথমিকভাবে রসুন একটি মহা-ওষুধ বলে পরিচিত। এদিকে পশ্চিমা ওষুধ বিশেষজ্ঞদের তত্ত্ব অনুযায়ী দেখা যায়, রসুন এনজাইমের মাত্রা বৃদ্ধিতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা রক্ত ভালো রাখে এবং শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কাঁচা রসুন খেলে সর্বোচ্চ পুষ্টি পাওয়া যায়। কিন্তু এতে স্বাদ কম থাকে। তাই এটা খাবারের মধ্যে দিয়ে রান্না করে খাওয়াই ভালো।
মধু: শীতের সময় ঠান্ডা ও জ্বর নিরাময়ের সবচেয়ে নিরাপদ ও সহজ উপায় হিসেবে পরিচিত মধু। এটা সংক্রামনহীন বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত, যা সংক্রামক ও ভাইরাসজনিত রোগপ্রতিরোধে খুবই কার্যকরী। তাই প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মধু খাওয়া উচিত। এছাড়া আরো সুবিধা পেতে এক কাপ গরম দুধের সঙ্গে এটা মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪