ঢাকা, রবিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ওজন কমানোর অদ্ভুত যত নিয়ম

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৫
ওজন কমানোর অদ্ভুত যত নিয়ম

ঢাকা: শরীর ঠিক রাখতে আমরা কত কি-ই না করি! ফিট থাকার জন্য পছন্দের কত খাবারকেই না বিসর্জন দিই, আবার কত অপছন্দের খাবার খেতে হয় আয়েশ করে। উদ্দেশ্য একটিই, সুস্থ-সবল থাকা।



শরীরকে ফিট রাখার অনেক খাবার বা ডায়েট পদ্ধতি আছে যা হয়তো শুনলে আশ্চর্য হবেন সবাই।

লন্ডনের কিংস কলেজের পুষ্টিবিজ্ঞানের অধ্যক্ষ পিটার এমারির মতে, ওজন কমানোর পেছনে একমাত্র বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি হলো কম খাওয়া। যেসব খাবার মানুষকে কম খেতে উদ্বুদ্ধ করে সেটাই উপকারী।

সুগার ফ্রি ডায়েট
সুগার ফ্রি ডায়েট শব্দটার সঙ্গ আমরা সবাই পরিচিত। এর অর্থ খাদ্যে গ্লুকোজের মাত্রা কম থাকা। কারণ গ্লুকোজের ফলে শরীর মুটিয়ে যায়।


ভিনা ম্যাককলের বইয়ে অর্থাৎ ডেভিনা’স ফাইভ উইকস টু সুগার ফ্রি বইয়ে উল্লেখ রয়েছে কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খাওয়ার কথা। কারণ কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার ধীরে ধীরে ভাঙে ও ধীরে ধীরে রক্তে গ্লুকোজের বিন্যাস ঘটায়।

বেশিরভাগ সুগার ফ্রি ডায়েটে মিষ্টিফল খাওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হলেও ব্রিটিশ নিউট্রিশন ফাউন্ডেশনের পুষ্টি বিজ্ঞানী জানান, ফল আমাদের শরীরে বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান যেমন: ভিটামিন সি, ফাইবার ও পলিফেনলের যোগান দেয় যা শরীরের জন্য ভীষণ প্রয়োজন।

আলু খেয়ে ডায়েট
আলুকে আমরা মোটা হওয়ার উপকরণ বলেই জানি। কিন্তু লর্ড বাইরন আলুর নাম তুলেছেন ডায়েট চার্টের লিস্টে। তিনি আলু খেয়ে পাঁচ বছরের  মধ্যে ওজন কমিয়েছেন ৩১.৭৫ কেজি। তবে ৩৬ বছর বয়সে জ্বরে তার মৃত্যু হয়। ব্যাপারটা অজানা যে হঠাৎ ওজন হ্রাসের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে কিনা। অন্যদিকে ওয়াশিংটন স্টেট পটেটো কমিশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর চেরিস ভয়েট দিনে ২০টি আলু খেয়ে ২ মাসে ওজন কমিয়েছেন ৯.৫ কেজি।

ডাক্তার মিলারের মতে, শ্বেতসারপূর্ণ খাবার শরীরের শক্তি উৎপাদনের খুব ভালো উপাদান। অন্য কোনো প্রকার শ্বেতসার বিশিষ্ট খাবার না খেয়ে শুধুমাত্র আলু খেলেও শরীরের সকল পুষ্টি চাহিদা পূরণ হওয়া সম্ভব।

তাই বলে কাদামাটি!

ডাইভারজেন্টের সাবেক তারকা শেইলিন উডলি বলেছেন, কাদামাটি ডায়েটের ক্ষেত্রে উৎকৃষ্ট। কারণ মানুষের শরীর এটিকে শোষণ করতে পারে না এবং এটির প্রভাব পুরোটাই নেতিবাচক। তাই এটি শরীর হতে নেতিবাচক সব উপকরণকে অপসারণ করতে সাহায্য করে।

২২ বছর বয়সী শেইলিন অবলীলায় একথা বললেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্যকথা। তারা বলেছেন, কাদামাটি না খেয়েও প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীরের টক্সিন ও অন্য ক্ষতিকারক পদার্থ বের হয়ে যায়। তারা গর্ভবতী নারীদের কাদামাটি জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এ জাতীয় খাবারে আর্সেনিক থাকে বলেও জানান তারা।

উচ্চ চর্বি জাতীয় খাদ্য
কিম কার্ডেশিয়ান বলেছেন, উচ্চ চর্বি জাতীয় খাদ্য ও কম কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাদ্য শক্তি উৎপাদন করে, স্মৃতিভ্রংশ থেকে রক্ষা করে ও শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার কোলেস্ট্রল ও হৃদরোগ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ওজনও বাড়ায়। তারা গবেষণা করে এটাও দেখেছেন যে অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার স্মৃতি বিনষ্টেরও কারণ।

ইউরিন ডায়েট
প্রাচীন যোগ অনুশীলনের মধ্যে একটি হলো প্রস্রাব গলাধকরণ। এই ধারণা অনুযায়ী এটি সেবনে কঠোর খাদ্যাভ্যস ও ব্যায়ামভ্যাস তৈরি, বলিরেখা ও চুল সাদা হওয়া রোধ হয়। মনে করা হয়, গর্ভবতী নারীর প্রস্রাব সেবনে দৈনিক ০.৪৫ কেজি ওজন কমানো সম্ভব। এটি  টিভি স্টেশনের একটি গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য। তবে বৈজ্ঞানিকখাকে ভিত্তিহীন এ পদ্ধতি অবলম্বনে চিকিৎসাবিদরা মোটেও একমত নন। তারা জানিয়েছেন, এর ফলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।