ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

যশোরে ডায়ারিয়ার প্রকোপ, ১৬ দিনে আক্রান্ত সাড়ে ৪০০

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৫
যশোরে ডায়ারিয়ার প্রকোপ, ১৬ দিনে আক্রান্ত সাড়ে ৪০০ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

যশোর: যশোরে ডায়ারিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত ১৬ দিনে (১৯ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি) এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কমপক্ষে সাড়ে ৪০০ রোগী যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।



এর মধ্যে বুধবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৪৭ রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে চিকিৎস্যাধীন রয়েছেন ৮৩ জন। বাকিরা গত কয়েক দিনে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহাদৎ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার তিনি হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগীদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়েছেন।

চিকিৎসকদের ধারণা, রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়ারিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে।

৪ ফেব্রুযারি রাতে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পাঁচ শয্যার ডায়ারিয়া ওয়ার্ড ছাপিয়ে বারান্দাসহ হাসপাতালের মেঝেতে গাঁদাগাঁদি করে রয়েছেন রোগীরা।

এদিকে, হঠাৎ করে একসঙ্গে এতো রোগীর সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় বাড়ানো হয়েছে চিকিৎসক ও সেবিকার সংখ্যা। জানা গেছে, ৩১ জানুয়ারি ৪১ জন, ১ ফেব্রুয়ারি ৩২ জন, ২ ফেব্রুয়ারি ৫৩ জন ও ৩ ফেব্রুয়ারি ৪৪ জন, ৪ ফেব্রুয়ারি ৪৭ রোগী ভর্তি হন। এছাড়া ১৯ ও ২০ জানুয়ারি ১৩ শিশুসহ ৪২ রোগী ভর্তি হয়েছিলেন।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ সাহা বাংলানিউজকে বলেন, ডায়ারিয়া রোগীদের সেবা দিতে পৃথক দু’টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও সেবিকাদের সহযোগিতা করছেন।

৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ডায়ারিয়া রোগীদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিতে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আসেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার। এসময় তিনি রোগীদের জন্য কলেরা স্যালাইন, বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন প্রদান করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।